এস এম মনিরুজ্জামানঃবাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার মুলঘর ইউনিয়ন এর রুদ্র গাতী গ্রামে সুশান্ত বিশ্বাস এর বাড়িতে হঠাৎ করে দুপুর আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের সময় আগুন লেগে যায় ।আগুন লেগে যাওয়ার পরে ঘরের পাশে রাখা ছিল একটি পালসার মোটরসাইকেল। ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা মোটরসাইকেল এর উপর পড়লে, মোটর সাইকেলের ট্যাংকি তে আগুন লেগে ব্লাস্ট হয়ে যায় ।মটরসাইকেলে ৭ থেকে ৮ লিটার তেল থাকায় আগুনের শিখা বিশাল আকার ধারণ করে। ধারনকৃত আগুন পাশের বসতঘর গুলোতে লেগে যায় পর পর সাতটি বসতবাড়ি পুড়ে যায় ।৫ জন বসত বাড়ির মালিকের ঘর পুড়ে যায় সাতটি।বসত বাড়ির মালিক হলেন- সুশান্ত বিশ্বাস , সুমঙ্গল বিশ্বাস, রণ বিশ্বাস, অরুণ সরকার, সুধাংশু সরকার । স্থানীয় জনগণ এবং ইউপি চেয়ারম্যান জানান সাতটা বাড়ি আগুন লাগাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকার তবে আগুন লাগাতে কোনো মানুষের বা পশুপাখির ক্ষয়ক্ষতি হয়নি ।এলাকার জনগণ বুদ্ধি খাটিয়ে ৩ থেকে ৪ টি ডিজেল পাম মেশিন লাগিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ।ফায়ার সার্ভিস কে অবহিত করলেও তাহারা এসেছিল কিন্তু ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারিনি গাড়ি নিয়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিল কিন্তু তার আগেই স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং নিভাতে সক্ষম হন ।আগুন লাগার এ দুর্ঘটনার খবর শুনে ফকিরহাট উপজেলার ইওনো শাহনাজ পারভীন ফকিরহাট মডেল থানার ইনচার্জ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিদর্শন করেন। মূলঘর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিটলার ও উপস্থিত ছিলেন। আগুন লাগার পরপরই স্থানীয় চেয়ারম্যান হিটলার সরজমিনে থেকে সবার সহযোগিতা নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন এবং আগুন নেভাতে পারেন। তবে কিভাবে এই আগুন এর উৎপত্তি সেটা এখনো কেউ বলতে পারেনি বা বুঝতে পারছে না। সাধারণ জনগণ ধারণা করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে হতে পারে।
Discussion about this post