মোঃ ফয়সালঃ বন্দর নগরীর প্রবেশদ্বার নগরীর জাকির হোসেন রোড , জানাগেছে সড়কটির এমন দশা হয়েছে যেন ধূলাবালি এবং আবর্জনা দিয়েই চট্টগ্রামে বাইরের লোক কে স্বাগতম জানানো হচ্ছে। সুপারভাইজারের নজরদারির অভাবে ঝাড়,দাররা এই সড়কে নিয়মিত ঝাড়, দেন না বলে অভিযোগ ঊঠেছে সড়কের পাশে পড়ে থাকে কাগজ, প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন ধরনের আবর্জনা। অথচ সিটি মেয়রের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতিদিন ডোর ,টু্,ডোর আবর্জনা সংগ্রহ করার পাশাপাশি রাত ১০ টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত সড়কে ঝাড়, দেয়ার কথা রয়েছে। এই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী একাধিক ব্যক্তি ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন ডো,টু,ডোর আবর্জনা সংগ্রহ এবং রাতের বেলা রাস্তা ঝাড়, দেয়ার কার্যক্রম শুরু করার পর সড়কটি নিয়মিত পরিষ্কার হতো। কিন্তু ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্রম শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। এখন সপ্তাহে সাত দিন ঝাড়,দাররা আর ঝাড়,দেন না। তারা তাদের ইচ্ছেমত এক বা দুই দিন ঝাড়, দেন। এ কারণে সড়কের পাশে, ফুটপাতে আবর্জনা পড়ে থাকে। তারা যদি নিয়মিত ঝাড়, দিতেন তাহলে মানুষকে ভোরে উঠে সড়কের পাশে আবর্জনা দেখতে হতো না। অথচ এই সড়কটি ঝাড়, দেয়ার জন্য আট জন সেবক নিয়োগ দিয়েছে সিটি কর্পোরেশন। তাদের পরিচালনা করার জন্য রাখা হয়েছে সুপারভাইজার। কিন্তু তিনি তা তদারকি করেন না। নিয়মিত তদারকি করলে সড়কটির এই দশা হতো না। জানতে চাইলে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগের সুপারভাইজার এহসান বলেন, এমইএস কলেজ থেকে আকবর শাহ মোড় পর্যন্ত বাম পাশ তার দায়িত্বে। মুরগি ফার্ম থেকে রোজ ভ্যালি আবাসিক পর্যন্ত জালালাবাদ ওয়ার্ডে পড়েছে। তিনি দাবি করেন, জাইকার কাজের কারণে সড়কের বিভিন্ন জায়গায় খোঁড়াখুঁড়ি হয়েছে। এ কারণে ধূলাবালি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। তিনি দাবি করেন, পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এই সড়কে নিয়মিত ঝাড়, দেন। সাধারণ মানুষ অসচেতনভাবে সড়কের পাশে আবর্জনা ফেলে দেন।
Discussion about this post