কামাল হোসেনঃশার্শা সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক বিরুদ্ধে লক্ষাধিক টাকার সরকারী গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (০৯ এপ্রিল) বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল অভিযান চালিয়ে ওই কাটা গাছ গুলো উদ্ধার করে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, শার্শা সদর ইউনিয়নের গাতিপাড়া-শিয়ালকোনা ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল খালেক গাতিপাড়া খেয়াঘাট মোড়ের খালের পাড়ে অবস্থিত ৪টি বড় বড় শিরিষ গাছ ও ২টি মেহগনী গাছ প্রায় লক্ষাধিক টাকা মূল্যে বাদল হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীর নিকট বিক্রি করে।
বাদল যথারীতি মঙ্গলবার সকালে কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে গাছ কাটা শুরু করে। শ্রমিকেরা একটা একটা গাছ কেটে নিয়ে নিশ্চিন্তপুর মাদ্রাসা মাঠে রেখে আসে।
সর্বশেষ বিকাল ৪টার দিকে বাকী একটি বড় শিরিষ গাছ প্রায় কাটার শেষ পর্যায়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল সেখানে অভিযান চালায়। নির্বাহী কর্মকর্তার অভিযান টের পেয়ে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক, ব্যবসায়ী বাদল ও শ্রমিকেরা সটকে পড়েন।
এসময় নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা পরিষদের শার্শা উপজেলার কেয়ারটেকার শের আলীকে গাছগুলো সরকারি নিয়মে জেলা পরিষদে জমাদান ও এব্যাপারে একটি নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেন।
জেলা পরিষদের শার্শা উপজেলার কেয়ারটেকার শের আলী বলেন, আমরা গাছগুলো জেলা পরিষদে জমাদানের জন্য নিয়ে যাচ্ছি। আমি উপরের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি এবং এ ব্যাপারে শিয়ালকোনা গ্রামের মৃত. আব্দুল রহমানের ছেলে ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক ও একই গ্রামের হাবিল সর্দারের ছেলে বাদল হোসেনকে আসামী করে শার্শা থানায় একটি নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডল বলেন, সরকারি গাছ কাটার ব্যাপারে আমি অভিযান চালিয়ে কাউকে আটক করতে পারি নাই, এমনকি তাদের বাড়ির কোন সদস্যকেও পাইনি।