বিশেষ প্রতিনিধিঃঘর্ণিঝড় ফণীর কারণে র্নিঘুম রাত কাটিয়েছে পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটার মানুষ। প্রশাসনের পূর্ব প্রস্তুতি থাকার কারনে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে মানুষ । দিনের বেলায় আশ্রায়ন কেন্দ্রেগুলোতে তেমন মানুষ না আসলেও সন্ধ্যার পর আশ্রায়ন কেন্দ্রগুলো কানায় কানায় পরিপূর্ণ ছিলো। এদিকে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় আশ্রায় কেন্দ্র ছাড়াও হোটেল মোটেলে আশ্রয় নিয়ে ছিলো স্থানীয়রা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কেন্দ্র গুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়। উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানাগেছে, তীব্র বাতাসে গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে আহত মোটরসাইকেল চালক হাবিবুর রহমান মুসুল্লী (২৫) বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর শহরের মনসাতলী এলাকায় ঘটনাটি ঘটলে রাত ১১ টার দিকে । হাবিবের বাড়ি পৌর সভার ১নং ওয়ার্ডের ওরকা পল্লী এলাকায়। এ ঘটনায় আরও দুই জন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। কুয়াকাটা পৌর মেয়র আব্দুল বারেক মোল্লা জানান, নাম হারুন মুসুল্লীর ছেলে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ বাতাসের তীব্রতায় একটি রেইট্রি’র ডাল ভেঙ্গে পড়ে হাবিবসহ তার যাত্রীরা আহত হয়। গুরুত্বর আহত হাবিবকে কুয়াকাটা ২০ শয্যা হাসপাতালে নেয়ার পর তাকে কলাপাড়া থেকে বরিশালে পাঠানো হয়। এছাড়া লালুয়া ইউনিয়নের ৫ কিলোমিটার বেড়ী বাঁধ সম্প‚র্ন ও আশিংক বিধ্বস্ত হয়েছে ২ কিলোমিটার। ২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৪৬টি বসত ঘর সম্প‚র্ন ভাবে ও ৪৮৭টি বসত ঘর আংশিক বিধ্বস্তের খবর পাওয়া যায়। ফসলি জমি প্রায় ৬৫৮ হেক্টর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে কৃষি বিভাগ। সাগর উত্তাল রয়েছে। জোয়ারে সময় নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে নিম্ন অঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়া উপকলীয় এলাকায় দমকা হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
Discussion about this post