বিল্লাল হোসেনঃকুমিল্লা জেলা দেবিদ্বার থানার ১১ নং রাজামেহার ইউনিয়নের চাটুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী চাটুলী সরকার বাড়ির হাসেম মিয়ার ছেলে মোঃ শাজাহান (৪৫)কে নারী কেলেংকারীর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিচার সালিশির নামে ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে একই ওয়ার্ড মেম্বার কবির হোসেন, কাশেম মাঝি, ও নবী মিয়ার বিরুদ্ধে। জানা গেছে গত ১৭-০৭-২০১৯ তারিখ রোজ বুধবার রাতে স্কুলের দপ্তরি শাজাহান তাহার আপন চাচাতো বোন রোকসানা আক্তারের সাথে অবৈধ ভাবে মেলামেশা করার সময় তারই জেঠাতো ভাই মৃতঃ মজিবুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০) দেখে ফেলে ঘটনার প্রতিবাদ করায় শাজাহান মিয়া নাজমা বেগমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে অকাথ্য ভাষায় গালাগালি করলে নাজমা বেগম বিষয়টি বর্তমান ১ নং ওয়ার্ড কবির মেম্বার কে অবহিত করে। কবির মেম্বার নাজমা বেগমকে বিষয়টি নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর অভিযোগ করার পরামর্শ দিলে নাজমা বেগম ১১ নং রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেন। রাজামেহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টিকে স্থানীয় ভাবে মিমাংসা করার জন্যে কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝিকে দায়িত্ব প্রদান করেন। কিন্তুু কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝী নাজমা বেগমের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে স্কুল দপ্তরি শাজাহানের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগ এনে চাকুরীচ্যুত করার ভয় দেখিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে দেবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। শাজাহান চাকুরি হারানোর ভয়ে তাহার মামা শশুর মিজান সরকার কে দিয়ে কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝীকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্যে।পরে একই বাড়ির মৃতঃ কালাগাজী সরকারের ছেলে নবী মিয়ার মাধ্যমে গত ০৪-০৮-২০১৯ইং কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝীকে ৫০ হাজার টাকা দেন। এরপর গত ০৮/০৮/২০১৯ তারিখ রাতে রোকসানা বেগমের বাড়িতে কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝী এলাকার আরো কিছু মাতাব্বর কে নিয়ে গ্রাম্যসালিশ বসে। নাজমা বেগমের অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব না দিয়ে মেম্বার কারো আর্জি না শুনেই শাজাহান ও রোকসানা অবৈধ ভাবে মেলামেশা করার অপরাধে উভয়কে ১০টি করে জুতাপিটা ও শাজাহানের উপর ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। পরে মসজিদের ইমাম সাহেবের মাধ্যমে তাওবা পড়ান। এই বিচারে অসন্তুষ্ট হয়ে শাজাহান ও তার ভাই শফিকুল ইসলাম থানায় গিয়ে কবির মেম্বার ও কাশেম মাঝীর ব্যাপারে দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আনোয়ার সহ সাংবাদিকদের কে বিষয়টি অবহিত করেন। এবং মেম্বার সহ চারজন কে বিবাদী করে শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৬-০৮-২০১৯ ইং থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৭-০৮-২০১৯ ইং দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ বিবাদীদের কে থানায় তলব করলে থানায় উপস্থিত হয়ে আর জীবনে এইসব অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ জহিরুল আনোয়ার। এর আগেও কাশেম মাজি ও কবির মেম্বারের বিরুদ্ধে নারী কেলেংকারী সহ টাকার বিনিময়ে বিচার সালিশীর করার অভিযোগ রয়েছে।