৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃর্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃংখলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, ডাকাত, খুনি, বিপুল পরিমান অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, একটি ছিনতাইকারী চক্র সম্প্রতি চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তাদের কাছে থাকা টাকা-পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এসব ছিনতাইকারীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারীর ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান শুরু করে। ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারীর মাধ্যমে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম জানতে পারে যে, একটি ছিনতাইকারী চক্র চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলা নৌ ওয়েলফেয়ার মার্কেটের দক্ষিন পাশে টিসিবি ভবনের গেইট সংলগ্ন স্থানে দেশীয় অস্ত্রসহ ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে ২৮ আগস্ট ২০১৯ ইং তারিখ ২১২০ ঘটিকার সময় র্যাবের একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে ছিনতাইকারীরা র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামী ১। মোঃ ইমন (২০), পিতা- মোঃ উলা মিয়া, গ্রাম- মির্জাপুর (ওবাদুল নগর, আলী হোসেনের বাড়ী), থানা- হাটহাজারী, জেলা- চট্টগ্রাম এবং ২। মোঃ হৃদয় হোসেন (২২), পিতা- মৃত জসিম উদ্দিন, গ্রাম- কাজিরগাঁও, পোঃ বালিগাঁও, থানা- লৌহজং, জেলা- মুন্সিগঞ্জ’দেরকে আটক করতে সক্ষম হয়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের দেহ তল্লাশী করে ০১ টি ছোরা এবং ০১ টি সুইচগিয়ার (চাকু) উদ্ধারসহ আসামীদেরকে গ্রেফতার করা হয়। জানা যায়, গ্রেফতারকৃত আসামীরা সম্প্রতি চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা চুরি-ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ করে আসছে। উল্লেখ্য যে, গ্রেফতারকৃত ১নং আসামী মোঃ ইমন এর বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় মাদকের মামলাসহ মোট ০২ টি মামলা এবং ২নং আসামী মোঃ হৃদয় এর বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় ০১ টি ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
গ্রেফতারকৃত আসামী এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।