বিশেষ প্রতিনিধিঃজুয়ার আসরের নেপথ্যে যত প্রভাবশালীই থাকুন না কেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিশ কঠোর হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার (সিএমপি) মো. মাহাবুবর রহমান।
সালেহ আহমেদ দীঘল নামে এক যুবলীগ নেতার মদদে ‘চট্টগ্রাম আবাহনী ক্লাবে’ প্রকাশ্যে জুয়ার আসরের বিষয়ে সিএমপি কমিশনার বলেন, সেখানে আরো অনেকেই জড়িত, শুধু দীঘল কেন? নেপথ্যে অনেক সিনিয়র লোক আছে। এখন সব বন্ধ। কোন সিনিয়রে কাজ হবে না।
তিনি বলেন, ক্লাবগুলোতে বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বন্ধ না করলে সিলগালা করে দেওয়া হবে। তারা বলতে চায়, এটা তাদের ক্লাব। ক্লাবের সদস্যরা খেলে। আসলে তো তা হয় না।
পুলিশ কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান বলেন, যদি দুইজন মানুষ নিজেদের একটা রুমে বসে জুয়া খেলে সেটা তো ধরা যায় না। চট্টগ্রাম ক্লাবের সদস্যরা যদি নিজেদের মধ্যে খেলে সেটাও ধরা যায় না। কিন্তু বাণিজ্যিকভাবে কেউ জুয়ার আখড়া চালালে, সেখানে যদি বাইরে থেকে কয়েকশ লোক আসে, তাহলে এটা অবৈধ। এটা কোনভাবেই চলতে দেওয়া হবে না।
সম্প্রতি দলীয় এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগ নেতাদের ‘অপকর্ম’ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশের পর বুধবার ঢাকার চারটি ক্লাবে অভিযান চালিয়ে জুয়ার সরঞ্জাম, প্রায় ৫০ লাখ টাকা এবং ১৮২ জনকে গ্রেপ্তার করে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ফকিরাপুলে ইয়ংমেনস ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোয় গ্রেপ্তার করা হয় যুবলীগের ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ ভূঁইয়াকে।
মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, অফিসার্স ক্লাব, মোহামেডান ক্লাব, শতদল ক্লাব ও অবসরপ্রান্ত সৈনিক ক্লাবসহ বিভিন্ন ক্লাবে নিয়মিত ছোট-বড় জুয়ার আসর বসে। এছাড়া নগরজুড়ে এ ধরনের অর্ধশতাধিক স্পটে জুয়ার আসর বসে; এসব স্পটের নেতৃত্বে থাকছেন ক্ষমতাসীন দল ও অঙ্গ সংগঠনের পদবীধারী কিছু ব্যক্তি। তবে বৃহস্পতিবার পুলিশের তৎপরতার পর কয়েকটি ক্লাব ঘুরে সবগুলো বন্ধ পাওয়া যায়। ফাইল ফটো