নওগাঁ প্রতিনিধিঃ নওগাঁ পত্নীতলার বিনা পয়সায় ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ চালু করেছেন রক্তের ফেরিওয়ালা নামে ক্ষাত তরুন ব্যবসায়ী এ জেড মিজান। রক্ত সংগ্রহের সমস্যাকে উপলদ্ধি করে নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বিশিষ্ট তরুণ ব্যবসায়ী এ জেড মিজান গড়ে তুলেছেন ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ।এই ব্লাড ডোনেশনের অন্যতম বৈশিষ্ট হলো চাহিদার পরিপেক্ষিতে বিনা পয়সায় রক্ত সরবারাহের জন্য ডোনার ব্যবস্থা করা।রক্ত ডোনেট করার পর পত্নীতলা ছাড়াও জয়পুরহাট , রাজশাহীসহ বিভিন্ন স্থানে রয়েছে ব্লাড ডোনেশন তালিকাভুক্ত ডোনার।রক্ত সংগ্রহের জন্য কেউ অবগত করলেই ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের
তালিকাভুক্ত সদস্যরা নিজ উদ্যোগে চাহিদা অনুযায়ী রক্ত প্রদানে ব্যবস্থা করে থাকে।প্রয়োজনে রক্ত প্রদানের জন্য তারা নিজ খরচে বিভিন্ন স্থানে যায়।বর্তমাণ প্রেক্ষাপটে টাকার বিনিময়ে যেখানে মানসস্মত রক্ত পাওয়া দুস্কর সেখানে পত্নীতলার ডোনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এ জেড মিজানের এই উদ্যোগ এলাকায় বেশ সাড়া জাগিয়েছে।এলাকার বিভিন্নস্থান থেকে ছুটে এসতেছে বিনা পয়সায় ব্লাড দিয়ে জীবন বাঁচাতে। এ ব্যাপারে অত্র এলাকাবাসী বলেন,আমাদের রক্তের প্রয়োজন হলে আমরা এ জেড মিজানের শরাণাপন্ন হই এবং এ জেড মিজান ভাই আমাদের বিনা পয়সায় রক্ত সংগ্রহ করে দেন।
এ বিষয়ে ব্লাড ডোনেশন গ্রুপের তরুণ উদ্যোক্তা এ জেড মিজান বলেন, আমি ১৯৯৭ সাল কলেজ জীবন থেকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়ে আসতেছি।আমি যখন প্রথমবার এক মূমর্ষূ রোগীকে রক্ত দান করি,সেই ব্যক্তিই ছিল ঐ পরিবারের এতমাত্র অবলম্বন।এ ব্যাপার টি আমাকে ব্যাপকভাবে বিবেকে নাড়া দেয় এবং আমি গভীর চিন্তায় পড়ি কিভাবে এই রক্ত চাহিদা মূমুর্ষ রোগী ও পরিবারের পাশ্বে দাঁড়ানো যায়।অনেক চিন্তা ভাবনার পরে ২০১২ সালে বন্ধু বান্ধব ও নিকট আত্নীয়দের নিয়ে তৈরী করে ব্লাড ডোনেশন গ্রুপ। যার বর্তমান সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০০(এক হাজার)
এ ব্যাপারে পত্নীতলা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানা।(সহকারী ভূমি কমিশনার) ও পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.তৌফিক আহম্মেদের সঙ্গে কথা হলে তারা, পত্নীতলা এ জেড মিজান যে উদ্যোগ নিয়েছে তা সত্যিই প্রশংসিত।