হাবিবুল ইসলাম হাবিব, কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আটক আসামীসহ দুই মাদক কারবারি নিহত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় সহকারী পুলিশ সুপার সহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে ৫হাজার পিস নিষিদ্ধ ইয়াবা বড়ি, ১টি শুটার গান, দেশীয় তৈরি ৫টি এলজি, ৩৬ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। সুত্রে জানা যায়, ১৭ অক্টোবর ভোররাতের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সাতঘরিয়াপাড়া সংলগ্ন পাহাড়ী এলাকায় এই ঘটনাটি সংঘটিত হয়।
গুলিবিদ্ধ নিহত মাদক কারবারীরা হচ্ছে, টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন কান্জর পাড়ার সামশুল আলমের পুত্র জিয়াবুল হক প্রকাশ বাবুল (৩০) ও বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীর কেফায়েত উল্লাহর পুত্র আজিম উল্লাহ (৪৬)। আহত পুলিশ সদস্যরা হচ্ছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-টেকনাফ সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান, টেকনাফ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ, কনেস্টবল রাইসুল ইসলাম আসাদ ও শুক্কুর। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল ১৬ অক্টোবর বুধবার বিকালের দিকে টেকনাফের হ্নীলা বাজার এলাকা থেকে বেশ কয়েকটি মামলার পলাতক আসামী অস্ত্রধারী মাদক কারবারী জিয়াবুল হক প্রকাশ বাবুলকে গ্রেফতার করে।
এরপর আটক আসামীদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার ভোররাতের দিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উখিয়া-টেকনাফের দায়িত্বরত সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ান এর নেতৃত্বে অস্ত্র উদ্ধারে টেকনাফ মডেল থানার পুলিশের একটি দল হোয়াইক্যং ইউনিয়ন সাতঘরিয়াপাড়া এলাকার সংলগ্ন গহীন পাহাড়ে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আটক আসামীর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ী গুলিবর্ষণ শুরু করে এবং আটক আসামীদের ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে অাত্মরক্ষার্থে পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। উভয়পক্ষের গোলাগুলির এক পর্যায়ে উখিয়া-টেকনাফের সার্কেল নিহাদ আদনান তাইয়ানসহ পুলিশের ৪ সদস্য গুরুতর আহত হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসার পর ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আটক বাবুল ও তার সহযোগী আজিম উল্লাহকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর পুলিশ সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে প্রেরণ করে। কক্সবাজার পৌছার পর দায়িত্বরত ডাক্তার তাদের ২ জনকে মৃত ঘোষনা করে। টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন ।