৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃবন্দর নগরী চট্টগ্রামে টাইলস ব্যবসায়ীদের রাজস্ব ফাঁকির মহা উসৎব চলছে।সরকারের নির্ধারিত রাজস্ব ৫ শতাংশ মূসক (ভ্যাট) পরিশোধ করছেন না ব্যবসায়ীরা। শুধু মাত্র অনুমানের উপর ভিত্তি করে কিছু পরিমানে ভ্যাট প্রদান করছেন টাইলস বিপণনকারী ব্যবসায়ীরা।সূত্র জানায় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট লাইসেন্স নেই।
প্রতিবছর সরকার বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অঙ্কের মূসক (ভ্যাট) থেকে। এছাড়া কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্মকর্তাদের তদারকি না করার বিষয়ে একাধিক অভিযোগও রয়েছে।
ক্রেতারা টাইলস কেনার মূসক (ভ্যাট) প্রদান করেন কিন্তু কোন ধরনের মূসক (ভ্যাট) রশিদ প্রদান করেন না ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে বাজারের টাইলস মার্কেটের বিভিন্ন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা টাইলস বিক্রি করছেন কিন্তু মূসক (ভ্যাট) রশিদ দিচ্ছেন না। এছাড়া ভ্যাট প্রহনের পর টাইলসের দোকানের (ক্যাশ মেমো) চালানের সাথে সংযুক্ত করে দেয়া হয়।
তবে টাইলস ব্যবসায়ীদের দাবি ক্রেতারা টাইলস কেনার পর মূসক (ভ্যাট) প্রদান করতে চায় না। তাই ক্রেতার পরির্বতে ব্যবসায়ীদের ভরতুকি দিতে হচ্ছে প্রতিমাসে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, ব্যবসায়ীরা দূর্ণীতিবাজ ভ্যাট কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাজশে প্রতি বছর বিক্রয় কম দেখিয়ে ভ্যাট ফাঁকি দিচ্ছে।
অপরদিকে, “লাইসেন্স অনলাইনের মাধ্যমে ব্যবস্থা থাকলেও ভ্যাট অফিসারদের টাকা ঘুষ না দিলে লাইসেন্স করে না। টাইলস ব্যবসায়ীরা ভ্যাট দিবে আবার ঘুষ দিয়ে লাইসেন্সও করবে! এ কারনে কেউ লাইসেন্স করতে চায় না। যে টাকা দিবে তার ফাইল হবে।
আর এ কারনে ১০০ শতাংশ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। সরকারি নিয়ম হলো যদি ৫০ হাজার টাকার টাইলস বিক্রি করা হয় তাহলে ৫ শতাংশ হারে ২৫ শত টাকা মূসক (ভ্যাট) দিতে হবে সরকারকে।
কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট চট্টগ্রামের কমিশনার মোহাম্মদ এনামুল হক বলেন, ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন কর (মূসক) নিবন্ধন ছাড়া কোনো ব্যবসাই করা যাবে না। তিনি আরো জানান পর্যাপ্ত পরিমাণে অফিসার না থাকার কারণে তারা যথাযতভাবে এইসব অসৎ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে পারছেনা।এবং অনলাইন ভ্যাট রেজিষ্ট্রেশন চালু করার পরেও শহরের ১০% ব্যবসায়ীও সাড়া দিচ্ছে না।