৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃদলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা সমাবেশ স্থগিত করেছে বিএনপি। প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় এ সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু প্রশাসন থেকে অনুমতি না পাওয়ায় সমাবেশ স্থগিত করা হলো। এছাড়া, পূর্ব ঘোষিত রাজশাহীর সমাবেশ ৪ এপ্রিলের পরিবর্তে ১৫ এপ্রিল নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
রিজভী বলেন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ঢাকায় বিএনপির পক্ষ থেকে ১২ মার্চ ও ১৯ মার্চ জনসভা করতে পুলিশের অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু সরকারের নির্দেশে নিরাপত্তার অজুহাতে বিএনপিকে জনসভার অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। এরপর আবারও ২৯ মার্চ জনসভা করতে বেশ কয়েক দিন আগে বিএনপির পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়।
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে বিএনপির একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করার পর আমরা বিশ্বাস করতে চেয়েছিলাম সরকার জনসভার অনুমতি দেবে। কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গতকালই সাংবাদিকদের বলেছেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জনসভার অনুমতি দেবে পুলিশ। পুলিশের প্রধান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তার এই বক্তব্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে, দেশ চালাচ্ছে পুলিশ। আওয়ামী লীগ ক্ষয়িষ্ণু রাজনৈতিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে বলেই দেশটা এখন পুলিশের কব্জায়।
বিএনপির এই মুখপাত্র আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দীতে জনসভার অনুমতির জন্য অপেক্ষা করলেও এখন পর্যন্ত আমরা জনসভার অনুমতি পাইনি। বিএনপির মতো একটি সর্ববৃহৎ দলকে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি না দেয়া স্বৈরাচারী আচরণেরই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, গত ২৪ মার্চ গণতন্ত্র হত্যার দিনে সরকার প্রধানের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় পার্টিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে দেয়া হয়েছে। এই ঘটনায় গণতন্ত্রকে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করা হলো। এছাড়াও সম্প্রতি আওয়ামী জোটের ছোট ছোট আরো অনেক দলকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেওয়া হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবদুস সালাম, আবুল খায়ের ভূইয়া, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, আব্দুল আওয়াল খান, আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
Discussion about this post