শাহীন আলমঃপুলিশ জনতা হাতে হাত, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ।এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে জনগণের মাঝে পুলিশের সেবা পৌছে দিতে রাজশাহীর দুর্গাপুর থানার নবাগত ওসি খুরশীদা বানু কনা অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন।
তিনি এ থানায় যোগদানের পর থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রন ও সব ধরনের অপরাধ রোধসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
দুর্গাপুর থানাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি থানাকে দালাল ও তদবির মুক্ত করার বিষয়ে তিনি সাহসী কঠোর ভূমিকা পালন করে থানাকে দালাল মুক্ত করেছেন। যদিও তিনি থানা দালাল মুক্ত ঘোষণার পর থেকেই স্থানীয় একটি মহল ওসি খুরশীদা বানু কনা বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তাতে তার পথ রুদ্ধ হয়নি,বরং আরো জোরালো গতিতে চলছে তার কার্যক্রম। দুর্গাপুরের মাদক ব্যবসায়ী গডফাদাররা গত কয়েক বছর যাবত প্রশাসনের নাকের ডগার উপর দিয়ে ফেন্সিডিলসহ রমরমা ইয়াবা বানিজ্য চালিয়ে আসলেও রহস্য জনক কারনে কেউ তাদের আটক করতো না।
কিন্তু বর্তমান দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খুরশীদা বানু কনা ২০১৯ সালের ২২ জুলাই দুর্গাপুর থানায় যোগদান করেই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সের পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ী গডফাদারদের আটকের জন্য সাড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। এদিকে দুর্গাপুর থানার বর্তমান ওসি খুরশীদা বানু কনা সার্বিক তৎপরতায় জনমনে প্রশান্তি ফিরেছে।
একের পর এক মাদক সম্রাটদের আটকে সাধারন মানুষ সস্থি প্রকাশ করেছেন। এলাকার সচেতন মহল সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে এরকম জিরো টলারেন্স আশা করেন। দুর্গাপুরে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ওসি খুরশীদা বানু কনা বলেন, দুর্গাপুর বাসীর গর্ব করার মত অনেক কিছু আছে।
তার মধ্যে,কিছু অসাধু মাদক ব্যাবসায়ীদের কারনে দুর্গাপুরের সুনাম নষ্ট হচ্ছে। আর তিনি এজন্য সব সময়ই মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাতে চান। তিনি বলেন,আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের তৎপরতার কারনে বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ছাড়া পূর্বের ন্যায় এখন আর প্রকাশ্যে নারীদের ইভটেজিং, চুরি, চালকদের আহত করে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের মত ঘটনাগুলো আর নেই।
গর্ব করার মত দুর্গাপুর গড়তে তিনি সাংবাদিক এবং সচেতন দুর্গাপুর বাসীর কাছে থেকে সুষ্ঠু ও সুপরিকল্পিত দিক নির্দেশনা আশা করেন।
Discussion about this post