বিশেষ প্রতিনিধিঃএলাকাবাসি জানতে চেয়েছেন যৌতুক লোভী শিবলুকে সিতাকুন্ড মডেল থানা পুলিশ এখনো আটক করতে পারেনি কেন?
উল্ল্যেক্ষ্য বিয়েতে যৌতুক দাবী, সীতাকুণ্ডে শশুড় বাড়ী যাওয়া আগেই জীবন দিলো তুশা।
প্রেমের সম্পর্কে একে অপরকে আপন করে নিলেও শশুড়বাড়ী যাওয়ার আগেই লাশ হলো জান্নাতুল ফেরদৌস তুশা (১৮)।
স্বামীর বাড়ি গিয়ে নতুন জীবন শুরু করার আগেই অভিমানে পরাপরে চলে যেতে হলো তাকে।১৩ই ফ্রেবুয়ারি
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া এলাকা থেকে পুলিশ গলায় ফাঁস দেওয়া তুুুুশার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে।
জানা যায়, উপজেলার শীতলপুরের লালবাগ এলাকার জাফর ইকবালের ছেলে ইমতিয়াজ হোসেন শিবলুর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বাঁশবাড়িয়া
এলাকার মোঃ রফিকের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস তুশা’র। গত কয়েক মাস আগে তারা কোর্ট ম্যারিজের মাধ্যমে আকদ্ সম্পন্ন করে।
প্রথমে বিষয়টি তাদের পরিবার মেনে না নিলেও পরে তুশার পরিবার মেনে নেয়। কিন্তু বাঁধসাধে শিবলুর মা মাজেদা বেগম , তিনি কিছুতেই এই বিয়ে মানতে নারাজ।
আর এতে মাজেদা বেগম তুশার পরিবারের উপর চাপিয়ে দেন বিশাল যৌতুকের লিষ্ট।
তুশার খালাতো ভাই রায়হান বলেন, শিবলুর মা মাজেদা বেগম বিয়েতে তার ছেলেকে একটা পাকা ঘর করে দিতে বলেন। এছাড়া বিয়েতে দুই হাজার লোকের খাওয়ার ব্যবস্থা, বিভিন্ন পদের ফার্নিসারসহ নগদ ১০ লক্ষ্য টাকা যৌতুক দাবী করেন।
যদি তা দিতে রাজি না হয় তাহলে তুশাকে তালাক দেওয়ার হুমকি দেয় ইমতিয়াজ হোসেন শিবলু ।
এছাড়া শিবলুর মামা দেলোয়ার হোসেন বলেন, যৌতুক দিতে না পারলে তাকে তালাকের নোটিশ দাও, আমি এক সাপ্তাহের মধ্যে আরেকটি মেয়ে বিয়ে করাবো।
দুইদিন আগে শিবলু ফোন করে তুশাকে বলেন, আমার মায়ের চাওয়া দাবীগুলো যদি পূরণে রাজি না হও তাহলে শনিবার তোমার কাছে ডিভোর্স লেটার যাবে।
পর্ব ২