৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদকঃহকারদের কে দেখে মনে হয় আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাতকে লিজ দেয়া হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম মহানগরীর আগ্রাবাদকে বলা হয় বাণিজ্যিক এলাকা। সেই বাণিজ্যিক এলাকায় আছে ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার ব্যাংক বীমাসহ সরকারী বেসরকারী সংস্থার প্রধান কার্যালয়। আমদানী রপ্তানীসহ সেখান থেকে নিয়ন্ত্রন হয় কোটি কোটি টাকার ব্যবসা বাণিজ্য। পাশে আছে দেশের প্রধান চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) কার্যালয়। সেই বাণিজ্যিক এলাকার ফুটপাতকে ঘিরে বর্তমানে গড়ে উঠেছে শতশত ভাসমান ব্যবসায়ী ও হকার। এসব ভাসমান হকাররা পুরো এলাকাকে দখল করে নিয়েছে। গড়ে তুলেছে অস্থায়ী নানান ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। একারনে ফুটপাত দিয়ে সাধারণ পথচারীরা এখন হাটতে পারেনা, জানাগেছে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কমার্স কলেজ, ওয়াল্ড ট্রেড সেন্টার, আগ্রাবাদ হোটেল, হোটেল সেন্টমার্টিন, টিএন্ডটি, বিদ্যুত অফিস, আখতারুজ্জামান সেন্টার, ওমেন চেম্বার, অপর দিকে সড়কের পশ্চিম পাশে সোনালী ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং সিঙ্গাপুর মার্কেটের সামনের সড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যবসাপাতি চালানো হচ্ছে। সেই ফুটপাতে পাওয়া যায় ভালমানের জুতোসহ নানান দামী পণ্য। আবার জনতা ব্যাংকের পাশের সড়ক যেটি সোজা কমার্স কলেজে গেছে সেটি দখল করে জুতাসহ নানা্ন পসরা সাজিয়ে ব্যবসা করছে ভাসমান হকাররা। তারা সড়ক দখল করে বড় সাইজের ছাতা টাঙিয়ে নানা পণ্য বেঁচা বিক্রি করছে। শুধু এসব এলাকা নহে বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে আগ্রাবাদ চৌমুহনী পর্যন্ত প্রধান সড়কের ফুটপাতও দখল করা হয়েছে। এসব এলাকায় আইন শৃংখলাবাহিনীকে নিয়মিত দায়িত্বপালন করতে দেখা যায়।
মোঃ বসির নামে এক ব্যাক্তি অভিযোগ করে বলেছেন, চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে পুরানো বাণিজ্যিক এলাকা হচ্ছে আগ্রাবাদ। সেখানে রয়েছে অসংখ্য সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন অফিস আদালত। বড় ধরনের মার্কেটও রয়েছে সেখানে। চৌমুহনীতে আছে কর্ণফুলী বাজার। সেখান থেকে নিয়ন্ত্রিত হয় আমদানী রপ্তানী। সেই বাণিজ্যিক এলাকার সুনাম নষ্ট করে ফুটপাতকে এক শ্রেণীর টাউট মাস্তানরা দখল করে ভাড়ায় লাগিয়েছে। তারা প্রতিদিন সেখানে হাজার হাজার টাকার চাঁদাবাজি করছে। এর একটি ভাগ পান অসৎ আইন শৃংখলাবাহিনীর কতিপয় কয়েক জন সদস্য। তাদের আস্কারা পেয়েই আগ্রাবাদ এলাকার ফুটপাতকে ব্যবসার নগরীতে পরিনত করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় ফুটপাত বাণিজ্য ও চাঁদাবজি চলছে বলে অভিযোগে জানান মোঃ বসির ।