বিশেষ প্রতিনিধিঃদোভাষের ফিরিঙ্গি বাজারস্থ বাড়িতে গিয়ে বর্তমান সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম এ শুভেচ্ছা জানান। এসময় সিডিএর বোর্ড সদস্য ও শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নতুন চেয়ারম্যানকে এর আগে কোনো বিদায়ী চেয়ারম্যান এভাবে শুভেচ্ছা জানানোর রেকর্ড নেই বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ২২ এপ্রিল। ছয় দফায় বাড়ানো সিডিএ চেয়ারম্যানের ১০ বছরের চাকরির মেয়াদ শেষ হবে ওইদিন। বর্তমান আইনে ছয় বছরের বেশি কাউকে সিডিএ চেয়ারম্যান পদে রাখার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল আলম দোভাষ ডলফিনকে সিডিএ চেয়ারম্যান হিসেবে সরকার নিয়োগ দিয়েছে। বিদায় নেয়ার আগে গতকাল নতুন চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা জানালেন আবদুচ ছালাম।
এসময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়ার যে অঙ্গিকার ২০০৮ সালে লালদীঘি মাঠের নির্বাচনী জনসভায় করেছিলেন, তা বাস্তবায়নে তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান পদে জনসম্পৃক্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিকে নিয়োগের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। নেত্রীর সুদৃষ্টি ও অকুন্ঠ ভালবাসা নিয়ে বিগত এক দশক চট্টগ্রামের উন্নয়নে রাত-দিন কাজ করেছি। সিডিএকে সারাদেশের জন্য উন্নয়নের একটি রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়ে নেত্রীর সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণে সক্ষম হয়েছি। চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্ন ছিল এ শহর যানজট ও জলাবদ্ধতা মুক্ত আধুনিক বাণিজ্যিক রাজধানী হবে। এজন্য যা যা করা দরকার তার সবগুলোতেই সিডিএ হাত দিয়েছে। যার অধিকাংশ কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। অনেকগুলো এ বছরের মধ্যে শেষ হবে, কিছু কাজ চলমান রয়েছে। এসব কাজ সম্পন্ন করার ব্যাপারে তিনি নতুন চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের অঙ্গিকার করেন। এসময় তিনি দোভাষ পরিবারের সন্তানকে চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব অর্পণ করার যে সিদ্ধান্ত প্রাধানমন্ত্রী নিয়েছেন সেটির যথার্থতা প্রমাণে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
শুভেচ্ছার জবাবে নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বিদায়ী চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার মধ্যে সততা ও কর্মনিষ্ঠা ছিল বলেই প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থছাড়ে কোনো কার্পণ্য করেননি। আমি তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় দৃঢ়ভাবে সচেষ্ট থাকব। তিনি ভবিষ্যতেও সিডিএর কার্যক্রমে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় সিডিএ বোর্ড সদস্য জসিম উদ্দিন শাহ, কেবিএম শাহজাহান, গিয়াস উদ্দিন, হাসান মুরাদ বিপ্লব, এম. আর আজিম, স্থপতি আশিক ইমরান, রুমানা নাসরিন, সিডিএ সচিব তাহেরা ফেরদৌস, প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস, উপ-সচিব অমল গুহ, মোহাম্মদ নাজের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।.