জনতার কলামঃএস এম শিমুল রানাঃলকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ “মা বাজার নিয়ে আসলে রান্না হবে তারপর সবাই মিলে খাবে” গৃহকর্মী হালিমা। ৩ ছেলে মেয়ে আর অসুস্থ স্বামী উত্তরা বস্তুটিতে নিয় থাকেন । করোনার কারণে যখন পুরো দেশে লকডাউন চলছে, তখন বাসা বাড়িতে কাজ হারিয়ে করোনার ঝুঁকি এবং পুলিশের মারের ভয় উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে রাস্তায় বের হয়েও কাজ না পেয়ে খাবার সংগ্রহ না করেই হতাশ হয়ে বাসায় ফিরেন।
একবার ভাবুন তো, তার ছোট্ট ছেলে মেয়েগুলোর কথা, মা বাজার নিয়ে আসলে রান্না হবে তারপর সবাই মিলে খাবে। আমাদের সন্তানদের কথাও একবার চিন্তা করি। অসহায় এই মা কি পরাজিত হবেন প্রানপ্রিয় সন্তানদের কাছে?
প্রিয় বন্ধুগণ, সারা দেশে লকডাউনের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। পারি ফাউন্ডেশন এরকম ১ হাজার পরিবারের মাঝে তুলে দিতে চান নিত্য প্রয়োজনীয় কিছু পণ্যসামগ্রী (১০ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৫ কেজি আলু, পেয়াজ, রসুন, তৈল, লবনসহ আরো কিছু জিনিসপত্র)।
সব মিলিয়ে প্রতি পরিবারের জন্য লাগবে কমবেশি ১ হাজার টাকা। ১০০ পরিবারের মাঝে বিতরণের মধ্য দিয়ে আমরা শুরু করবো আমাদের এই কার্যক্রমের প্রথম পর্ব। পর্যায়ক্রমে আমরা উত্তরা সংলগ্ন বস্তিগুলোতে এ বিতরণ অব্যাহত রাখবো ইনশাআল্লাহ।
আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা আপনাদের সহায়তা পৌঁছে দেবো এই ক্ষুধার্ত মানুষগুলোর দৌড়গোড়ায়। মানুষের পাশে দাঁড়ানোর এখনি সময়। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যে কোন পরিমাণ দান করতে পারেন তা যদি ১ কেজি চালের সমানও হয়।সাহায্য করতে চাইলে বাড়ি বাড়ি যান তাহলে দেখবেন কষ্ট করা মানুষ রাস্তায় না খেয়ে আছে ।
Discussion about this post