৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃসারাদেশে ১ নভেম্বর (শুক্রবার) থেকে কার্যকর হলো আলোচিত সড়ক পরিহন আইন ২০১৮। নতুন আইনে হেলমেট ছাড়া বাইক চালালে ১০ হাজার টাকা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে ২৫ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন অপরাধের কঠোর শাস্তি ও জরিমানার বিধান রয়েছে। তবে নতুন আইন কার্যকর হলেও এখনই প্রয়োগ করা হচ্ছে না। প্রয়োগ হচ্ছে পুরাতন আইন। ধীরে ধীরে পরিবহণ, মালিক শ্রমিক,ও জনসাধারণ কে অভ্যাস্থ করে তারপরও কঠোর হবে প্রশাসন।
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ও পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ বলছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও পুরোনো আইনই প্রয়োগ করা হবে। তবে পর্যায়ক্রমে সহনীয় মাত্রায় নতুন আইনটি প্রয়োগ করা শুরু হবে। তার আগে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের নতুন আইনটি সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেওয়াসহ পথচারী, চালক ও হেলপারদের অবগত ও অবহিত করা হবে।
বন্দর ২নং জেটি এলাকায় দ্বায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট মো.শাহেদুল ইসলাম বলেন, আমরা নতুন আইনটি প্রয়োগের আগে এ সম্পর্কে পরিবহন শ্রমিক বা চালকদের ধারণা দিচ্ছি। নতুন আইনের কোন ধারায় কী শাস্তি বা জরিমানা তা তুলে ধরছি। যাতে আইনটি সম্পর্কে কারো নেতিবাচক ধারণা কিংবা জানতেন না এমন অজুহাত তৈরি না হয়।
তিনি বলেন, আরো বলেন অচিরেই নতুন আইনটি প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া আইনটি বাস্তবায়ন হলে সড়কে আগের তুলনায় আরো গতি বাড়বে, শৃঙ্খলা ফিরে আসবে।দুর্ঘটনা কমবে।হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো থাকবেনা।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের সর্বোচ্চ শাস্তি পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও জরিমানা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকার কথা উল্লেখ থাকলেও এছাড়া উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে কাউকে হত্যা করার প্রমাণ পাওয়া গেলে তার মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন আইন কার্যকর হলেও তা প্রয়োগ হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে বিআরটিএ(চট্টগ্রাম)’র ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম.মনজুরুল হক বলেন, আমরা শুরুতেই একেবারে নতুন আইনটি চাপিয়ে দিচ্ছি না। কারণ পুরোনো আইনের সঙ্গে নতুন আইনের অনেক পার্থক্য রয়েছে যাহা আস্তে আস্তে প্রয়োগ করতে হবে। হঠাৎ করে নতুন আইন চাপিয়ে দিয়ে এমন কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হবে না যাতে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে পর্যায়ক্রমে নতুন আইনটি সহনীয় মাত্রায় এনে প্রয়োগ করা হবে। এছাড়া আপাতত পুরোনো আইনেই কাজ চলবে।তবে এই নতুন নিয়ম সবার জন্যই ভাল হবে।
Discussion about this post