জনতার কলাম,,সাংবাদিক রামিম দেওয়ানঃআমি একজন বঙ্গবন্ধুর আর্দশের কলম সৈনিক। সংবিধান অধিকার দিয়েছে কথা বলার। সংবিধান অধিকার দিয়েছে বিধায় চুপ থাকতে পারি না । ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম
আমাদের দেশের সব থেকে বড় সমস্যা আমরা সত্যকে মেনে নিতে পারিনা। ২০১৯ সালে বসবাস করেও আমরা জাতীর পিতা ও স্বাধীনতার ঘোষক বিতর্কে বিভক্ত। কিছু দিন থেকেই শুনছি, ইউটিউবে শতশত ভিডিও দেখছি ভারত বাংলাদেশ দখল করে নিবে “ইসকন” নামে সংগঠনটি বাংলাদেশকে ভারত বানাবে।
তারা বাংলাদেশ ধংশ করবে। আরে ভাই যারা নিজে নিজেদের কে ধংশ করে তাদেরকে বাহিরের রাষ্ট্রশক্তির ধংশের প্রয়োজন হয়না। বঙ্গবন্ধু সারা জীবন দেশের জন্য সংগ্রাম করে এসেছেন। ৪৬৮২ দিন তিনি জেলেই কাটিয়েছেন।সাতে মার্চের ভাষনে তিনি জাতীকে ঐক্যবদ্ধ করেছেন। হ্যাঁ জিয়াউর রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি দেশের জন্যই মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। হ্যাঁ তিনি বঙ্গবন্ধুর আহবানেই মুক্তিযুদ্ধে এসেছেন।হ্যাঁ তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা করেছেন কিন্তু তিনি তা করেছেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষেই।এবং তিনি তার ভাষনে তিনি তা স্পষ্টও করেছেন। জিয়াউর রহমানও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ন অংশ।
কিন্তু তিনি বাংলাদেশের স্থপতি নন। স্বাধীনতার পূর্বে আমরা পাকিস্থানী জাতী হিসেবে পরিচয় দিতাম।সারা বিশ্ব আমাদের পাকিস্থানী জাতী হিসেবে পরিচয় দিতাম কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কারনে ও সংগ্রামী জীবনই আমাদের পরিচয় আলাদা করেছেন। এখন আমরা নিজেদের বাঙ্গালী জাতী হিসেবে পরিচয় দিই।তবে তো তিনিই,বঙ্গবন্ধুই বাঙ্গালী জাতীর স্থপতি অর্থাৎ জাতীর জনক।আর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষক। কিন্তু সত্য ইতিহাস আমাদের জাতীর মাঝে তুলে ধরা হয় না।যখন বিএনপি ক্ষমতায় আসেন তখন ইতিহাস এমন ভাবে তুলে ধরা হয় সেখানে জিয়াউর রহমানই স্বাধীনতার ঘোষক,এবং সেটা এমন ভাবে তুলে ধরা হয় যে তিনি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা।
আবার যখন আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসে তখন জিয়াউর রহমানকে ইতিহাস থেকে এমন ভাব বাদ দেওয়া হয় যে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য কিছুেই করেননি। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এমন কান্ডজ্ঞানহীন আচরনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে আমাদের নতুন প্রজন্ম। আমাদের অধিকার সঠিক ইতিহাস জানার। এবং আমাদেরকে এই অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অধিকার কারো নাই।
ছবি সাংবাদিক রামিম দেওয়ান