হাবিবুল ইসলাম হাবিব: রোহিঙ্গারা সোজাসুজিভাবে বলে দিচ্ছে আমাদের দাবি না মানলে আমরা দেশে ফিরে যাব না। আবার এদিকে উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যাতে স্বদেশে প্রত্যাবাসন শুরু করতে পারে এজন্য আশ্রয়ন কেন্দ্র এবং জেটিঘাট প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। তবে শোনা যাচ্ছে, অনেকে প্রত্যাবাসনে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরও ক্যাম্প ছেড়ে আত্মগোপনে চলে গেছে। বহুল প্রত্যাশিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা বৃহস্পতিবার থাকলেও রোহিঙ্গারা এই মুহূর্তে নিজ দেশে মায়ানমারে ফিরে যেতে অনীহা প্রকাশ করে স্বেচ্ছায় বোর্ডের কাছে এসে সাক্ষাৎকার দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। প্রত্যাবাসন তথা স্বদেশে ফিরে যাওয়ার বিষয়ে রোহিঙ্গা নেতা এবং সাধারন লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তাদের উত্থাপিত দাবি পূরণ হলেই তারা ওপারে চলে যাবে, অন্যথায় তারা যাবে না বলে কঠোর শর্তে জানান দেয়। তবে কয়েক প্রকার প্রকাশ্যে দাবির মধ্যে গোপনীয় একটি সূত্রের দাবি, এসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রনকারী উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের লোকজনের কাছে অধিকাংশ রোহিঙ্গারা জিম্মি এবং নিরাপত্তাহীন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা যায়। তাদের কথার বাইরে কোন আলোচনা বা আয়ত্বের বাইরে গেলে গভীর রাতে হামলার শিকার হতে হয়। এই আশঙ্কায় নিজ দেশে তথা মায়ানমারে ফিরতে পুরোপুরি অনীহা প্রকাশ করছে বা মুখ ফুটে বলতে পারছেনা। তবে এ ব্যাপারে কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোঃ আবুল কালাম জানান, এ প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সফল করতে আমরা সব ধরনের প্রস্তুত গ্রহণ করেছি। আশা করি নির্ধারিত সময়ে সফলভাবে প্রত্যাবাসন হবে বলে আমরা আশাবাদী। উল্লেখ্য, টেকনাফ উপজেলার অন্যতম সন্ত্রাস প্রবণ রোহিঙ্গা শিবির হচ্ছে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এখানে নিয়োজিত সরকারি কর্মকর্তা মোহাম্মদ খালেদ হোসেন জানান, ২৪ হাজার রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এই এলাকা থেকেই ছাড়পত্র দিয়েছে মায়ানমার ৩০৯১ জন। বাকি ৪৫০ জন রোহিঙ্গা তিনটি শিবিরের বাসিন্দা বলে জানায়।