৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রামে ভালো একটি বিনোদন কেন্দ্র নেই, একটি ভালো পর্যটন কেন্দ্র নেই। একটি উন্নত, আধুনিক ও স্বাস্থ্য আর শিক্ষায় সমৃদ্ধ শহর গড়তে এই রাজনৈতিক-ব্যবসায়ীগোষ্ঠীর কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি কখনো। তাই করোনার এই অসহায় মুহূর্তে মরতে হচ্ছে সবাইকে।
গরিবরা মরছে চিকিৎসার অভাবে, বড়লোকরা মরছে ভালো চিকিৎসার অপ্রতুলতায়। চট্টগ্রামের মতো অসহায় অবস্থা সম্ভবত বাংলাদেশের আর কোনো শহরে নেই।
প্রায় ৩ হাজার শনাক্ত করোনা রোগীর এই শহরে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ফিল্ড হাসপাতাল মিলে চিকিৎসা বেড মাত্র ৩৫০টি। প্রায় ১ কোটি লোকের এই চট্টগ্রাম শহরে করোনা রোগীর জন্য আইসিইউ মাত্র ১২টি।
ফলে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু ঘটছে অসংখ্য মানুষের। সামান্য অক্সিজেন দেয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সাধারণ মানুষের মধ্যে এখন আলোচনা চট্টগ্রামের কেন এই দশা? বিএনপির আমলে ১০ জন মন্ত্রী এবং মন্ত্রী পদমর্যাদার নেতৃবৃন্দ ছিল চট্টগ্রামে।
বর্তমান সরকারের আমলেও এই সংখ্যা কম নয়। কিন্তু চট্টগ্রামের দুঃখ কিছুতেই ঘুচে না। চট্টগ্রাম নিয়ে ব্যবসায়ী রাজনীতিবিদদের নির্লিপ্ত অবহেলা আর বঞ্চনার ইতিহাস বড়ই দীর্ঘ। তাই প্রশ্ন উঠছে, চট্টগ্রামের প্রতি নির্মোহ ভালোবাসা আর উপলব্ধি নিয়ে চিন্তা করার কি কেউ নেই?
একজন মহিউদ্দিন চৌধুরীকে কী আর কখনো পাওয়া যাবে না?যিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় নেতা বা মন্ত্রী হওয়ার লোভ ছেড়ে শুধু চট্টগ্রাম নিয়ে ভাববেন? সংকটে-দুর্যোগে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বলবেন , আঁই ত আছি।