দেবিদ্বার প্রতিনিধিঃকুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের হাতে খুন হয়েছেন জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলার মুরাদনগর উপজেলা যুব লীগের আহবায়ক খায়রুল আলম সাধন।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে সাধনের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
নিহত সাধন মুরাদনগর উপজেলার ভুবনঘর গ্রামের মৃত সুলতান মাহমুদের ছেলে। কি কারণে খুন হলেন সাধন রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকালে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার মোস্তফাপুর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। এ সময় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে তার পকেটে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে ওই লাশটি কুমিল্লা জেলা পরিষদ সদস্য ও মুরাদনগর উপজেলা যুব লীগের আহবায়ক খায়রুল আলম সাধনের (৫০) বলে শনাক্ত করে।
নিহত সাধনের আত্মীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বনশ্রী এলাকার বাসা থেকে দুই লাখ টাকা সাথে নিয়ে খায়রুল আলম সাধন মুরাদনগরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করেন। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সাধনের লাশের কাছে ভিড় জমায়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৫ টায় সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের দেয়া খবরের ভিত্তিতে মোস্তফাপুর এলাকা থেকে জেলা পরিষদ সদস্য ও যুবলীগ নেতা খায়রুল আলম সাধনের লাশ উদ্ধারের পর কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তার বাঁ চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে- দুর্বৃত্তরা হয়তো অন্য কোন স্থানে তাকে হত্যার পর সেখানে লাশ ফেলে পালিয়ে যেতে পারে। তবে কি কারণে বা কোন স্থানে তাকে খুন করা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।