বিশেষ প্রতিনিধিঃঅবশেষে মুখ খুললেন নানা ঘটনার আলোচনার কেন্দ্রে থাকা জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ক্রিকেট নিয়ে ভালো মন্দের সাথে ন্যায়-অন্যায়ের যদি কিছু হয়ে থাকে তার বিচারের ভার থাকে অভিভাবক বিসিবির ওপর।
সাকিব মনে করেন ক্রিকেটাররা বোর্ডের কাছে সন্তানের মতোই। সাকিব আল হাসান আর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এই মুহূর্তে দেশের সবচাইতে আলোচিত নামগুলোর অন্যতম।
ক্রিকেটারদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে থেকে গ্রামীণফোনের সাথে সাকিবের বিতর্কিত চুক্তি সবকিছু নিয়েই বিসিবি সভাপতির প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় প্রায় প্রতিদিন কিন্তু সাকিব থাকেন আড়ালে-আবডালে। তবে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
তিনি বলেন, এ বিষয়টা যেহেতু একটি সেনসিটিভ বিষয় যেহেতু অফিশিয়ালি কথা হচ্ছে এসব বিষয় নিয়ে আলাপ না করাটাই ভালো। স্বাভাবিকভাবে আমার একটা রেসপন্স থাকবে। তারপরে এগুলো যখন শেষ হয়ে যাবে তখনই আসলে এগুলো নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করা যাবে।
চাপে ভাঙ্গেন না সাকিব। তাই খেলার মাঠে তিনি নাম্বার ওয়ান। বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে বিসিবির কাঠগড়ায় সাকিব। তাহলে কি তিনি এখন চাপমুক্ত নাকি চাপমুক্তর অভিনয় করছেন?
এ ব্যাপারে সাকিব আল হাসান বলেন, অনেক সময় হয়তো আমি চাপমুক্ত না কিন্তু আমি হয়তো চাপমুক্ত থাকার অভিনয় করি এবং ঐটা অভিনয় করতে করতে হয়তো একসময় আমার ক্যারেক্টারের ভিতর ঐ রকম চলে আসে যে, আমি চাপমুক্ত। তবে এটা কখনই এমন নয় যে আমি সব সবসময় ফ্রি থাকি কিংবা সবসময় চাপে থাকি। একটা প্র্যাকটিস করতে করতে যেটা হয় যে ওই প্রাকটিসটাই এক সময় ন্যাচারে পরিণত হয়ে যায় যেটা হয়তো আমার ক্ষেত্রেও হয়েছে।
তিনি বলেন, পিতামাতার ভূমিকা যদি থাকে তখন আপনি কি করবেন। মনে করেন আপনার পাঁচটা ছেলে আছে বা দশটা ছেলেমেয়ে আছে আপনি কি দশজনকে একভাবে দেখবেন। কারো হয়তো মেরে আপনাকে শেখাতে হবে, কাউকে আদর করে শেখাতে হবে, কাউকে বুঝাতে হবে। সেটা আপনি বুঝতে পারবেন কোনটাতে কোনভাবে আপনার বাচ্চাকে ভালো রাখতে পারবেন। এটা আপনার দায়িত্ব।
ছবি ফাইল ফটো
Discussion about this post