৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃ উচ্চ আদালতে দেয়া খালেদা জিয়ার জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করার মাধ্যমে সরকার হস্তক্ষেপ করছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়ার জামিন পেতে যে আইনি প্রক্রিয়া সেটি অত্যন্ত সচেতনভাবে সরকার বাধাগ্রস্ত করছে। এর মাধ্যমে বিএনপি নেত্রী ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত হওয়ায় সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।
রায়ে বিএনপি ক্ষুব্ধ হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের মামলায় একজন সাধারণ মানুষের জামিন হয়ে যায়। অথচ দুর্ভাগ্যজনকভাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন হলো না। অথচ জামিন পাওয়া তার আইনগত অধিকার।
জামিন স্থগিতের মাধ্যমে আদালতের সিদ্ধান্তে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে বলেও দাবি করেন বিএনপির মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, দেশের মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল বিচারবিভাগ, বিশেষ করে উচ্চ আদালত। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে যেভাবে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে সেইদিনই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা চলে গেছে।
সরকার ‘আরেকটি একতরফা’ নির্বাচন করে একদলীয় শাসন দীর্ঘায়িত করতে খালেদা জিয়াকে নীলনকশা করে কারাগারে রাখতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, যেভাবে জামিন স্থগিত করা হলো এর মাধ্যমে গণতন্ত্রকে কবর দেয়া হলো। অর্থাৎ গণতন্ত্রের কফিনে শেষ পেরেকটি মারা হলো। সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারগুলোও হরণ করে নিলো।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতাদের মধ্যে মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।্
Discussion about this post