মহিনুল ইসলাম সুজন:নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী।
সোমবার (৮এপ্রিল)দুপুরে জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড় স্মৃতি অম্লান চত্তরে ঘন্টাব্যাপী ওই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ,একই মাঠে প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ও ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া স্কুল এ- কলেজ অবস্থিত। দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের খেলাধুলার একমাত্র মাঠটিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বহুতল ভবন নির্মানের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করা হয়েছে।
উপজেলার পুঠিমারি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য মকছুদার রহমান বেলন, বিদ্যালয়ের মাঠটি অত্র এলাকার ঐতিহ্যবাহী খেলার মাঠ। ওই মাঠে অবস্থিত দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ছাড়াও এলাকার শিশু, কিশোররা বিভিন্ন খেলাধুলা করে আসছে। বিদ্যালয় চত্ত্বরে ভবন নির্মানের বিকল্প স্থান থাকলেও মাঠ বন্ধ করে ভবন নির্মানের সিদ্ধান্তে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। ওই সিদ্ধান্ত বাতিল করে ভবনটি বিকল্প স্থানে নির্মানের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া স্কুল এ- কলেজের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র মেহেদী হাসান ও আশেকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা জরুরী। বিদ্যালয় চত্ত্বরে বিকল্প স্থান থাকলেও কতৃপক্ষ মাঠের মাঝখানে ভবন নির্মান করে খেলাধুলার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। আমরা সেটির তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মানববন্ধন শেষে ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অভিভাবক আবুল আলা মওদুদীর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, ভেরভেরী মাঝাপাড়া গ্রামের আহসানুল আরেফিন, ফয়জুল ইসলাম, আব্দুল মতিন,ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া স্কুল এ- কলেজের শিক্ষার্থী মো. জয় ও রিপন প্রমুখ। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
চারতলা বিশিষ্ট ভবনের সরকারী বরাদ্দের কথা স্বীকার করে ভেড়ভেড়ী মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাই বলেন, বিদ্যালয় মাঠে ভবনের নির্মান কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করা হবে। এতে শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ হওয়ার কথা নয়। তবে এক শ্রেণীর লোকজন উন্নয়ন কাজের বাধা সৃষ্টি করছেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত করে ভবন নির্মানের মতামত দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা প্রকৌশলী বিষয়টি বলতে পারবেন।
উপজেলা প্রকৌশলী এসএম কেরামত আলীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে মুঠো ফোনে কথা বলার জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিন বলেন,‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এই সরকার খেলাধুলার মাঠ সংস্কার ও সংরক্ষণের ব্যাপারে আন্তরিক। ওই মাঠটি যতটুকু সম্ভব রক্ষা করে ভবন নির্মান করা যায় কিনা সে বিষয়টি আমি দেখবো।