মুহম্মদ তরিকুল ইসলামঃপঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন সাতমেরা ইউনিয়নের ভেলকু পাড়া গ্রামে এক পশু ধর্ষক ব্যক্তিকে আটক করেছেন এলাকাবাসী। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভেলকু পাড়া গ্রামের কৃষক মোঃ এরশাদ পিতা-সেরাজউদ্দিন কে পঞ্চগড় পৌরসভা এলাকার মসজিদ পাড়া গ্রামের অ্যাডভোকেট রঞ্জু উক্ত ধর্ষিত গাভী গরুটিকে পোষার জন্য বর্গা দেয়।
এরশাদ ওই গরুটিকে ছোট থেকে লালন-পলন করে বড় করেন। এরই মধ্যে ৬ সেপ্টেম্বর ১৯ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময়, ভেলকুপাড়া এরশাদের মাঠে বাধা গরুটিকে যশোহর জেলার কেশবপুর উপজেলার ৩নং মহব্বতপুর ইউপির কুসুমতিয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ আনিছুর রহমান(৪৮) পেশায় ট্রাকের হেলপার ভেলকু পাড়া গ্রামের বালুর পয়েন্ট সংলগ্ন বালু বোঝাই করার জন্য আসলে এরশাদের মাঠে বাধা গরুটি কে, ভেলকুপাড়া গোরস্থানে গাভিটির পা বেঁধে গোরস্থানের মাঝখানে ঝোঁপের ভিতর গরুটির সাথে যেনা করার সময় মাঝিপাড়া গ্রামের মমিরুল ও ঠিলাপাড়া গ্রামের কছিরুল দেখে ফেলে।
তারপর চিল্লাচিল্লি করলে এলাকার লোকজন ছুটে এসে গরু ধর্ষক হেল্পার মোঃ আনিসুর রহমানকে হাতে নাতে ধরে ফেলে এবং আনিছুর রহমানকে দশ চাকার ট্রাক সহ আটকে রাখে। গ্রামে উক্ত বিষয়টি ছড়িয়ে গেলে বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ধর্ষক আনিছুর রহমানকে দেখতে আসে। এদিকে বেশ কয়টি ইউনিটির সাংবাদিকদের খবর দিলে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং সাংবাদিকদেরকে গরু মালিক এরশাদ জানান, আমি গরিব মানুষ এই গরুটি বর্গা পুষি।
এখন আমি এই গরুটি কি করব এরই মধ্যে ওই গাড়ির চালক ও এলাকার এক বালুর ব্যবসায়ী মোঃ মহারাজা, এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে ওই গরুটির দাম নির্ধারণ করে ৩৫ হাজার টাকা। ৩৫ হাজার টাকা গরুর মালিক এরশাদের হাতে দিয়ে মোঃ মহারাজা ওই যেনা করা গরুটি বাড়িতে নিয়ে যায়।
এদিকে এলাকাবাসী জানান, ওই ধর্ষিত গরুটি জবাই করে মাটির নিচে পুঁতে রাখা উচিত। ওটা যেন আর কোথাও বেচাকেনা না হয়। এলাকাবাসী আরোও জানান, এত বড় একটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা ঘটে গেল অথচ কোন ওয়ার্ড সদস্য, চেয়ারম্যান কিংবা প্রশাসনের লোকজন কে উক্ত বিষয়ের ব্যাপারে জানানো হয়নি।
এখন মানুষের মনে দ্বিধাদ্বন্দ্ব এবং নানা প্রশ্নের আলোড়ন জাগছে যে, না জানি ওই যেনাকৃত গরু বাজারে কসাইয়ের কাছে বা গৃহে পালা পোষা মুসলিম ধর্ম অনুযায়ী অবৈধ। এতে কে শুনে কার কথা বালু ব্যবসায়ী মোঃ মহারাজা গরুটি তার বাসাতেই নিয়ে যায়।