চট্টগ্রাম করদাতা সুরক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ৩০ জানুয়ারী সোমবার বিকেল ৩টায় কদমতলী আবুল খায়ের মেম্বার চত্তরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের অন্যায্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় বন্ধের দাবীতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সংগ্রামী সভাপতি মোঃ নুরুল আবছার। সভাপতি তার বক্তব্যে হোল্ডিং ট্যাক্স বিরোধী আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে ৪১ টি ওয়ার্ডে চলমান সংগ্রাম কমিটিতে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহবান জানান।
উক্ত সমাবেশ থেকে সুরক্ষা পরিষদের সহ-সাধারন সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদাউস পপি আন্দোলনের কর্মসুচি ঘোষনা করেন এবং ১৫ মার্চের নগরভবন ঘেরাও কর্মসুচি সফল করার জন্য চট্রগ্রাম নগরবাসীর প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
সমাবেশে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক বলেন একজন মেয়র সর্বউচ্চ ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর মওকুফ করার ক্ষমতা রাখেন, কিন্তু তিনি কিভাবে ৪/৫ লক্ষ টাকা ছাড় দিচ্ছেন এটা আমার বোধগম্য নয়।
সহ-সভাপতি ইসমাইল উদ্দিন মনু তার বক্তব্যে নগরবাসীকে দাবী আদায়ের লখ্যে দ্রুত সুরক্ষা পরিষদের সাথে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।
নবগঠিত সংগ্রাম কমিটির আহবায়ক মীর মোহাম্মদ ইসলাম তার বক্তব্যে ৪১ ওয়ার্ডের জনগণকে বিনা দ্বিধায় সংগ্রাম পরিষদে নিজ নিজ উদ্যোগে দ্রুত সময়ের মধ্যে যুক্ত হওয়ার আহবান জানান।
সুরক্ষা পরিষদের মুখপাত্র কাজী শহীদুল হক স্বপন তার বক্তব্যে সুরক্ষা পরিষদের ৪দফা দাবী উপস্থাপন করে বলেন বর্তমান এসেসমেন্ট বাতিল, আয়তনের ভিত্তিতে পুনরায় এসেসমেন্ট, কর্পোরেশনের দুর্নীতিবাজ রাজস্ব কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রতি বছর প্রকাশ্যে গণশুনানীর আয়োজন।
উক্ত সভায় বক্তারা আরো বলেন ভাড়ার ওপর নির্ধারণ করা গৃহকর চট্টগ্রাম নগরবাসীর গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভাড়ার ওপর কর নির্ধারণের এমন আজব নজির পৃথিবীর কোনো দেশে নেই। এমনকি বাংলাদেশের কোনো কর্পোরেশন বা পৌরসভায় ও নেই। তাহলে চট্টগ্রাম নগরবাসীর কী অপরাধ?
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মুজিবুল হক, এরশাদ হোসেন, মনির হোসেন, ওলি আহম্মদ, নুরুল হুদা তানভীর, হাসান ইমরান, সজ্জাদ হোসেন, হারুন উর রশীদ, মোঃ মফিজ, মোঃ হাসান প্রমুখ।
উক্ত সমাবেশ চলাকালে মিছিল নিয়ে যোগ দিতে থাকেন বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ জনগণ।
Discussion about this post