বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্রগ্রাম নগরীতে অস্ত্র ও ছুরিসহ আড়াইশ চুরির পর ধরা পড়ল পাঁচ কিশোর কিশোর বয়স পার করার সময় তাদের। সংঘবদ্ধভাবে থাকে, ইয়াবা সেবন করে। রাতে অটোরিকশা নিয়ে বের হয় চুরির উদ্দেশ্যে। পাইপ বেয়ে ভবনে উঠে বাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের খোলা জানালায় হাত ঢুকিয়ে নিয়ে নেয় মোবাইলসহ বিভিন্ন সামগ্রী। এভাবে প্রায় আড়াই’শ বাসা-ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরির পর পুলিশের হাতে ধরা পড়েছে পাঁচজন। নগরীর সদরঘাট থানা পুলিশ বুধবার রাতে তাদের নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ির বালুর মাঠ এলাকা থেকে আটক করেছে। তাদের কাছ থেকে অস্ত্র ও চুরির বিভিন্ন সরঞ্জামও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সদরঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, ‘দিনের বেলায় সংঘবদ্ধ এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বাসা, স্কুল-কলেজ, ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রেকি করে। দিন-রাত জানালা খোলা থাকে এমন বাসা বা অফিস খুঁজে বের করে তারা। এরপর গভীর রাতে যখন মানুষ সাধারণত ঘুমিয়ে পড়ে, তখন গিয়ে পাইপ বেয়ে উঠে খোলা জানালা দিয়ে মোবাইল, মানিব্যাগ ও ল্যাপটপ নিয়ে পালিয়ে যায়।’ আটক পাঁচজন হল- মো. বাদশা (১৮), মো. রাসেল (১৯), মো. নুর উদ্দিন (২০), মো. জাকির হোসেন (১৯) ও মো. সোহেল (২০)। তাদের কাছ থেকে ১টি একনলা বন্দুক, ৩টি কার্তুজ, দুটি চাপাতি, একটি ছুরি, স্লাইড রেঞ্জ, কাটার ও স্ক্রু ড্রাইভার উদ্ধার করা হয়েছে। সদরঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ রুহুল আমীন বলেন, ‘এই চক্রের সদস্যরা রেলস্টেশনে ভাসমানভাবে থাকে। প্রতি রাতে তারা ইয়াবার আসর বসায়। সেখান থেকে রাত দেড়টার দিকে চুরির উদ্দেশে সিএনজি চালিত ট্যক্সি নিয়ে বের হয়। সাধারণত পাঁচ থেকে সাতজন চুরি করতে একসঙ্গে যায়। তাদের মধ্যে দু’জন পাইপ বেয়ে উপরে উঠে। দু’জন পাইপের নিচে থাকে। আর দু’জন বা তার চেয়ে বেশি অস্ত্র নিয়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে তাদের রক্ষা করার জন্য। তবে যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে, জানালার গ্রিল কেটে ভেতরে ঢুকে চুরি করা সম্ভব, তখন ৩-৪ জন পাইপ বেয়ে উপরে উঠে যায়।’ ওসি নেজাম জানান, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে- এ পর্যন্ত তারা প্রায় আড়াই’শ ব্যাংক-বীমা প্রতিষ্ঠান, বিভিন্ন অফিস, স্কুল-কলেজ ও বাসায় চুরি করেছে। রেলস্টেশন এলাকায় তাদের কয়েকজন দলনেতা আছে। চোরাই মালামাল তারা কিনে নিয়ে বিক্রি করে। গ্রেপ্তার পাঁচজনের বিরুদ্ধে সদরঘাট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
Discussion about this post