লকডাউনের সময় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের সাতকানিয়ায় বসানো চেকপোস্টে মাইক্রোবাস চাপায় কর্তব্যরত মো. রাব্বী ভূইয়া (২৭) নামে পুলিশ সদস্য নিহতের ঘটনায় ওই মাইক্রোবাসের হেলপারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার মধ্যরাতে নগরের কোতোয়ালী থানার শাহ আমানত মাজার এলাকায় আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার রুবেল মাইক্রোবাসটির হেলপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার ডুলাহাজারা গ্রামে।
বিষয়টি জানিয়েছেন অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কোতোয়ালী থানার বকশির হাট বিট পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মৃণাল কান্তি মজুমদার। তিনি বলেন, ‘মামলাটি সাতকানিয়া থানা পুলিশ তদন্ত করলেও আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হেলপার রুবেলকে গ্রেপ্তার করি। ইতোমধ্যে সাতকানিয়া থানা পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের টিম আসলে আসামিকে হস্তান্তর করা হবে।
এরআগে ৫ আগস্ট সকাল পৌনে ১১টার দিকে মহাসড়কের সাতকানিয়ার কালিয়াইশ ইউনিয়নের কাঠঘর এলাকায় লকডাউন বাস্তবায়নে চেক পোস্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন দোহাজারী হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী সাদা রংয়ের মাইক্রোবাস চেকপোস্ট দেখে গাড়ির গতি কমিয়ে দেয়। কিন্তু চেকপোস্টের সামনে এসে দ্রুতগতিতে গাড়ি চালিয়ে পালানোর সময় চেকপোস্টে থাকা পুলিশ কনস্টেবল মো. রাব্বী ভূইয়াকে চাপা দেয়। মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
কনস্টেবল মো. আরাফাত হোসেন মাইক্রোবাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মাইক্রোবাসটি দোহাজারী পৌরসভা এলাকায় রাস্তায় ওপর রেখে অজ্ঞাত চালক পালিয়ে যায় মাইক্রোবাস জব্দ করে পুলিশ।