বিশেষ প্রতিনিধিঃচট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আসছে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে। এসব অভিযোগের কোন পদক্ষেপ দৃশ্যত না হওয়ায় বিধিভঙ্গের প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বলেও অভিযাগ উঠেছে। রাতের আঁধারে প্রতিপক্ষ প্রার্থীর পোষ্টার ছিঁড়ে ফেলা, মাইক ব্যবহারের নীতি না মানা সহ অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কার্যালয়ে।
নির্বাচন কার্যালয়ে আসা এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে যাচাই-বাছাইয়ের প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসের স্টাফ অফিসার বুলবুল আহমেদ। তিনি বলেন, মেয়র, কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিং করা হচ্ছে। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নগরীর ৪১ ওয়ার্ডে মেয়র এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের আচরণবিধি মনিটরিং করা জন্য ১৪ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে। বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনের নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী প্রায় প্রার্থীর ব্যানারের সাইজ অনেক বড়। তিন নির্বাচনী অফিসে গিয়ে দেখা গেছে-দিন যতই যাচ্ছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অপর প্রার্থীর অভিযোগ বাড়ছে। অভিযোগ নিয়ে থানায় গেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান অভিযোগকারীরা।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৫২ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৮ হাজার ৭২৩ জন। নারী ভোটার ৯ লাখ ৫২ হাজার ৩২৯ জন। চসিক নির্বাচনের জন্য ৭৩৫টি ভোট কেন্দ্র ও ৪ হাজার ৮৮৬টি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনের জন্য মোট ১৬ হাজার কর্মকর্তা নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনসহ মোট ৬ জন মেয়র, ১৬১ জন সাধারণ ওয়ার্ডর কাউন্সিলর এবং ৫৬ জন সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
Discussion about this post