৭১ বাংলাদেশ ডেস্কঃআসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ব্রিফিংয়ে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, টঙ্গীতে ইজতেমা হবে ১১ তারিখে। তখন সরকার অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে। এছাড়া খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটা অনুষ্ঠান আছে। তাই মনে করছি ৩০ তারিখ সঠিক সময়।
সম্প্রতি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছে সেই প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে বলে আমরা খুশি।
রিটার্নিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, ‘আপনারা দেশি-বিদেশি সবস্তরের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এ বছর নির্বাচনের পরিবেশ হবে ভিন্ন। আমাদের দেশে কখনও নির্বাচন হয়েছে রাষ্ট্রপতি শাসিত নির্বাচন, কখনও সেনাবাহিনী, কখনও কেয়ারটেকারের অধীনে। কিন্তু অন্যান্য নির্বাচন থেকে এই নির্বাচন সম্পূর্ণ ভিন্ন।
তিনি আরো বলেন, ‘২০১৪ সালে এমন একটি নির্বাচন হয়েছিল। কিন্তু সেই নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়নি। আমরা সেজন্য আনন্দিত যে, এই নির্বাচনে সব দল অংশ নিতে যাচ্ছে। সে কারণে আপনাদের দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেছে।’
কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচন হতে হবে সম্পূর্ণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ভোট একটি উৎসব। ভোটের দিন ভোটাররা আনন্দমুখর পরিবেশে ভোট দিতে যাবে। সবাই নিজ নিজ দায়িত্ব যথাযথ পালন করবেন। ভোটের বুথ ছাড়া বাকি সব স্থানে পর্যবেক্ষকসহ সবাই যেতে পারবেন এবং তা পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।’
সিইসি বলেন, যে নির্বাচন জনগণ গ্রহণ করবে, যে নির্বাচন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে, সেটিই হবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এই অবস্থা আপনাদের (রিটার্নিং কর্মকর্তা) সৃষ্টি করতে হবে। এখন থেকে নির্বাচনের সব দায়িত্ব আপনাদের। কীভাবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ করবেন, ভোটকক্ষ তৈরি করবেন সব দায়িত্ব আপনাদের। সবাই আন্তরিকভাবে নির্বাচন পরিচালনা করেন, তাহলে সামগ্রিকভাবে আমাদের ওপর জনগণের সন্দেহ হবে না।
কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, এই নির্বাচন কমিশনের আত্মমর্যাদার নির্বাচন। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেবার নির্বাচন। এটা বিবেচনা করে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সরকারি চাকরি করলেও নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে।
এ সময় কমিশনার ও ইসি সচিব হেলালুদ্দিন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।
Discussion about this post