এস এম মনিরুজ্জামানঃবাগেরহাট জেলার মোংলা উপজেলার মিঠাখালী ইউনিয়ন রড়ঘের নামক খাল থেকে মাছ ধরার সময় বোরহান উদ্দিনের জালে উঠে এলো, পিঠে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন বসানো বড় আকৃতির একটি কচ্ছপ।
পরে স্থানিয় ইউ,পি সদস্য আবুল হোছেন কচ্ছপ টি উদ্ধার করে।
পরে সুন্দরবন কচ্ছপ প্রজ্বনন কেদ্রের স্টেষন ম্যানেজার আবদুর রব এর কাছে হস্থন্তর করাহয়। আবদুর রব সংবাদিকদের জানান, উই,পি সদস্য আবুল হোসেনের খবরে আমরা দুপুরে গিয়ে বাটাশুর বাসকা কচ্ছপ’টি নিয়ে এসেছি। কচ্ছপ’টি এখন সুস্থ আছে।
সুন্দরবনের মোহনায় ছাড়া হলেও খাল থেকে কচ্ছপটি উদ্ধারের পর প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, জনসাধারণের মনে সেটি এখানে কিভাবে এলো।এবং সাধারণ মানুষের মনে নানাবিধ প্রশ্ন জেগেও উঠছে যে কচ্ছপটির পিঠে ওটা কি?যারা বুজতেছে,তারা বলছে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন।আর যারা বোঝো না,তাদের কিছু মানুষের মনের মধ্যে ভয়ও কাজ করছে।শুধুমাত্র এখানেই ভাবনা শেষ হচ্ছে না,কারন অনেকেই আবার মন্তব্য করছে এটা কি আমাদের দেশের না কি অন্য কোন দেশ থেকে এসেছে।বুঝা-নাবুঝার শেষ নেই।যে যা বুজছে সে সেটাই বলে বেড়াচ্ছে। যদিও এ বিষয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তাদের স্পষ্ট কোনো বক্তব্য নেই। তবে সংস্লিস্টরা স্বীকার করেছেন, সুন্দরবনে তাদের ছাড়া পাঁচটির মধ্যে দুটি কচ্ছপ আগেই মারা গেছে। তিনি বলেন, ‘গত ২ অক্টোবর স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন সাটানো ৫টি বাটাগুর কচ্ছপ সুন্দরবনের কালিরচরের সমুদ্র মোহনায় ছাড়া হয়েছিল। দুটি আগেই মারা গেছে। উদ্ধার কচ্ছপটি তাদেরটির একটি। সুন্দরবন থেকে কচ্ছপটি খালে চলে গেল, আপনারা কিছুই জানলেন না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হয়ে বিশয়টি এড়িয়ে যায় আবদুর রব। কারন ওখান কার মানুষের আলোচনায় যেটা আসছে, তা থেকে ওখান কার মানুষের ভাষায় বুঝা যাচ্ছে এই কচ্ছপটি আদৌ আমাদের দেশের বা সুন্দরবনে ছাড়া সেই কচ্ছপটি কি না?এখানকার মানুষদেরকে একটা বুজ দেওয়া মাত্র।যে কচ্ছপটি তে ট্রান্সমিশন লাগানো থাকবে,তার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে সর্ব প্রকার ব্যাবস্হা ও নিস্চয় করা আছে।তাহলে সংস্লিষ্টদের চোখ ফাকি দিয়ে কচ্ছপটি ওখানে কি করে গেল? পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের করমজল পর্যটন ও বন্য প্রাণি প্রজ্বনন কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, বাটাগুর বাসকা প্রজাতির কচ্ছপ বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ার উপকূলে দেখা যেত। কিন্তু, বাংলাদেশ ছাড়া অন্য দেশে এখন আর নেই বললেই চলে। বাংলাদেশেও দ্রুত বিলুপ্ত হতে থাকায় বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০১০ সালে ভিয়েনা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসে। তাদের আর্থিক সহায়তায় বন বিভাগ, যুক্তরাষ্ট্রের টারটেল সারভাইভাল অ্যালায়েন্স ও বেসরকারি সংস্থা ক্যারিনাম গাজীপুরের ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানে প্রথম বাটাগুর বাসকা’র বংশবিস্তারের কার্যক্রম শুরু করে। এক পর্যায়ে ব্যপক সফলতা আসে।