নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃনওগাঁ জেলার মহাদেবপুর উপজেলার কুঞ্জবন গ্রামের মোঃ নাজমুল হকের ছেলে আব্দুল্লা (ওয়াদুদ) (৩২) হোমিও ও ঝাড়-ফুকের অন্তরালে সুন্দরী মেয়েদের তার নিজ তৈরী ও বিভিন্ন রকমের ঔষধ ও কথাবার্তায় নিজেকে মেয়েদের প্রতি আকৃষ্ট করে ফায়দা হাঁসিল করে আসছে। অনেকেই লজ্জা-শরম ও সম্মানের দিকে তাকিয়ে মুখ খুলতে নারাজ হলেও শেষ মেষ ধরা খেয়ে, বর্তমানে হাজত বাস করছে।
মামলা সুত্রে জানা যায়,উক্ত গ্রামের মোঃ নাজমুল হকের ছেলে মোঃআব্দুল্লা ওয়াদুদ(৩২) একজন কবিরাজ (ঝারফুক) ও হোমিও চিকিৎসক হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি । তার দোকান ও চেম্বার একই স্থান কুন্ঞ্জবন বাটুলতলীতে অবস্থিত যার নাম “আল্লাহ্ ভরসা” আর এই দোকান ও চেম্বার থেকেই তার অপরাধ শুরু বলে জানা গেছে । ভুক্তভূগী মোছাঃ জাহানারা খানম এর এজাহার সুত্রে জানা যায় যে তিনি একজন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা, বিভিন্ন মাধ্যমে তিনি এই প্রতিষ্ঠানের গুনগান ও প্রসংশা শুনে চিকিৎসা নিতে আসেন আর এই চিকিৎসা নেওয়া কালেই আব্দুল্লা ওয়াদুদ সুকৌসলে তার প্রতি আসক্ত করেন জাহানারা খানমকে।
আর এক পর্যায়ে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় তাদের দু,জনার। বিয়ের কিছু দিন যেতে না যেতেই প্রকাশ পায় আব্দুল্লা ওয়াদুদের আসল রুপ সে তার বিবাহিত স্ত্রী জাহানারা খানম কে চাপ দেয় ১০০০০০০(দশ লক্ষ) টাকা যৌতুক দিলে সংসার হবে না দিলে ডির্ভোস দিবে। তার এই রুপ ব্যবহারে হতাশ হলেও সংসার করার জন্য শত কষ্টের মাঝেও বাধ্য হয়ে, সোনার গহনা যা ছিলো সকল কিছু বিক্রয় ও বিভিন্ন ভাবে জোগাড় করে যৌতুকের ৫০০০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা তার স্বামীর হাতে তুলে দেয়। জাহানারা খানম এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান যে, এই ঘটনা সম্পূন্ন সত্য এবং আরো জানান যে যৌতুক দেওয়া অন্যায় জেনেও তিনি যৌতুুকের ৫০০০০০(পাঁচ লক্ষ) টাকা তার স্বামীকে দেন। কারন তিনি ভেবেছিলেন, এই টাকা পাবার পর তার স্বামী সাভাবিক হবে কিন্তু আব্দুল্লা ওয়াদুদের লোভ আরও বেড়ে যায় ।
যৌতুকের বাঁকি টাকা পাবার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ।বিষয়টি জাহানারা তার শ্বশুর নাজমুল হক কে জানালে তার শশুর,স্বামী,দেবর সকলে মিলে মারপিট ও ভয়ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দেয় ।এরুপ ব্যবহার এর কারণ জাহানারা ভালভাবে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে, এই কাজের পিছনে তার শ্বশুর ও দেবর আতিকেরই যোগসাজেসে এই সব কিছু ঘটনা ঘটাচ্ছে। তখন নিরুপাই হয়ে জাহানারা আইনের আশ্রয় নেয়। গত ২১ মে ২০২০ ইং তারিখে মহাদেবপুর থানায় স্বামী-আব্দুল্লা ওয়াদুদ, শ্বশুর-নাজমুল হক ও দেবর আতিককে আসামী করে একটি এজাহার করেন। ১১(গ)/৩০,ও ৩১৩ পেনাল কোড-১৮৬০ ধারায় আসামী আব্দুল্লা ওয়াদুদকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
যার মামলা নং-১৩ মহাদেবপুর, এবং জিআর নং-১৪৩/২০ (মহাঃ) মামলার তদন্ত চালু রয়েছে। বাদিনী জাহানারার একটাই চাওয়া তার স্বামী যেন তাকে নিয়ে সংসার করে ।