হাবিবুল ইসলাম হাবিব কক্সবাজার প্রতিনিধি: কক্সবাজারের টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে ডাকাত ও সন্ত্রাসী আস্তানা শনাক্ত করেছে র্যাব। বুধবার দুপুরে হেলিকপ্টারে টহল অভিযান পরিচালনার পর কক্সবাজার র্যাব-১৫ অধিনায়ক উইং কমান্ডার আজিম আহমদ বলেন, টেকনাফের শালবাগান ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে কিছু আস্তানা শনাক্ত করেছে র্যাব, তবে গহীন পাহাড়ে কোন আস্তানার সন্ধান মেলেনি।
শনাক্ত হওয়া আস্তানা সমুহ ধ্বংস করতে শীঘ্রই অভিযান চালানো হবে বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান, ক্যাম্প সহ আশেপাশের এলাকায় কিছু ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের কর্মকান্ডের ব্যাপারে তথ্য থাকায় র্যাব তাদের দমনে পরিকল্পিতভাবে অভিযান চালাচ্ছে। ৬ নভেম্বর বুধবার দুপুর ১ টারদিকে টেকনাফের শালবাগান ও নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড় সহ আশেপাশে পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিতে দেখা যায়।
এসময় এসব পাহাড়ী এলাকায় র্যাব ১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার শাহ আলমের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক র্যাব সদস্য মোতায়েন ছিল। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা টেকনাফ উখিয়া উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসসহ ৩৪টি ক্যাম্পে আশ্রয় নেয়। এদের কিছু বেপরোয়া দুষ্কৃতিকারী রোহিঙ্গা মাদক, ডাকাতি, চুরি, হত্যা ও বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে টেকনাফের গহীন অরণ্যে রোহিঙ্গা ডাকাতের একাধিক আস্তানা রয়েছে বলে একাধিক সুত্রে জানা গেছে।
টেকনাফের ফকিরামুরা সহ গহীন বনের বিশাল এলাকায় গড়ে তুলেছে তাদের এই আস্তানাগুলো। এখানে ডাকাত বাহিনীর অন্তত অর্ধশত অস্ত্রধারী ক্যাডারেরও বসতি রয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফ শহরের বিভিন্ন স্থানে আছে তাদের একাধিক সোর্স। অরণ্য ঘেরা পাহাড়েই ডাকাতরা রাজার বেশে অবস্থান করে চালিয়ে যাচ্ছে যতসব অপকর্ম। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ টেকনাফ থানায় হত্যা ৭টি, অপহরণ ৬টি, মাদক ২টি, ধর্ষণ ১টি, ডাকাতি ২টি মামলা রয়েছে।
এসব অপরাধী ডাকাতদের ধরতে র্যাব ও পুলিশ কয়েক দফা অভিযান পরিচালনা করে। শুধু তাই নই রোহিঙ্গা ডাকাতের আস্তানা চিহ্নীত করতে গত সপ্তাহে ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা চিহ্নীত করে এবং তা আগুনে পুড়িয়ে দিয়ে ধ্বংস করে দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় গহীন পাড়াড়েও আস্তানা চিহ্নীত করতে এবং রোহিঙ্গা ডাকাতদের ধরতে হেলিকপ্টার যোগে চক্কর দেয় র্যাব-১৫। র্যাব-১৫ টেকনাফ ইনচার্জ লেঃ মির্জা মাহতাব বলেন, গহীন পাহাড়ে হেলিকপ্টার চক্কর দিয়ে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক জায়গা নজর এসেছে। ইতিমধ্যেও ড্রোন ব্যবহার করে কয়েকটি আস্তানা ধ্বংস করা হয়েছিল। তাছাড়া দূষ্কৃতিকারীদের পাকড়াও করতে গোয়েন্দা নজর রাখা হচ্ছে। ভবিষ্যতে আরো অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে জানাগেছে ।