বিশেষ প্রতিবেদকঃনগরীর বিভিন্ন স্থানে নালার ময়লা রাস্তায় তুলে রেখেই দায় সারছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)’র পরিছন্ন কর্মীরা। এদিকে প্রতি মাসে ডোর টু ডোর শ্রমিকদের বেতন খাতে ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় করছে চসিক। নগরবাসীর আক্ষেপ, তবুও ঠিক মত ময়লা ফেলতে পারছেন না তাহারা। অন্যদিকে নগরীর মুরাদপুর, ২ নম্বর গেটের মোড় সড়কে ভেঙ্গে গেছে আইল্যান্ড।
মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) নগরীর আন্দরকিল্লা পুরনো নগর ভবনে এক গণসাক্ষাতে এসব অভিযোগ উঠে আসে চট্টগ্রাম নগরবাসীর কন্ঠে।
এসব অভিযোগ শুনে চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, এ ধরণের অভিযোগ কাম্য হতে পারেনা। কর্পোরেশন ১২’শ কোটি টাকা দেনার দায় নিয়ে ডুবে আছে। মাসে ডোর টু ডোর শ্রমিকদের বেতন খাতে কর্পোরেশনের ২ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয় হয়। নগরীতে ডোর টু ডোর ময়লা-আবর্জনা পরিস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা ঠিকঠাক মত দায়িত্ব পালন না করলে তাদের নিয়োগ বাতিল করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
এদিকে স্বাক্ষাতকালে নগরীর ফকিরহাট দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ট্রেড লাইসেন্স প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে প্রশাসককে অনুরোধ করেন। জবাবে প্রশাসক বলেন, একদিনের মধ্যে তা ব্যবস্থা করতে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।পরিবহন মালিকরা বলেন, নগরের ২ নম্বর গেটের মোড়ে সড়কের আইল্যান্ড ভেঙে গেছে। তা মেরামতে প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেন। এসময় প্রশাসক নগরীতে চলমান ফিটনেসবিহীন বাস ও অন্যান্য গাড়ি চলাচল বন্ধে পরিবহন মালিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি অনেক সময় বেপরোয়া গতিতে চলে আইল্যান্ডের ওপর উঠে যায়। এতে আইল্যান্ডগুলো ভেঙে যায়। প্রশাসক সুজন গণপরিবহন ও শহর এলাকার বাসগুলোতে কর্মজীবী নারীরা যাতে হয়রানির শিকার না হয় এবং নির্বিঘ্নে – নিরাপদে চলাচল করতে পারে সে ব্যাপারে খেয়াল রাখতে বলেন।
পূর্ব বাকলিয়ায় রাস্তা ছোট হয়ে আসার অভিযোগের বিষয়ে প্রশাসক সুজন বলেন- যে সব ওয়ার্ডে চসিকের রাস্তা নির্মাণের কাজ চলমান আছে, সে সব ওয়ার্ডে বৃহত্তর স্বার্থে এলাকাবাসীকে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে হলেও রাস্তা বড় করতে হবে। অন্যথায় কর্পোরেশনের একার পক্ষে এসব রাস্তা বড় করা সম্ভব হবেনা। তিনি চসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী ফরহাদুল আলমকে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ডের চলমান সড়কটির নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করে তাঁকে বিস্তারিত জানাতে নির্দেশনা দেন।
প্রশাসকের স্বাক্ষাতপ্রার্থীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষক, মুত্যবরণকারী কর্পোরেশনের কর্মচারীর পরিবারের সদস্য, সমাজসেবক, রাজনীতিক, কর্পোরেশনের ঠিকাদার, পরিবহন মালিক, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।