বিশেষ প্রতিনিধিঃযুবলীগ নেতা ও বহু মামলার চিহ্নিত আসামি বুলবুল হত্যাসহ অসংখ্য মামলার আসামি এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর থানায় আনার আগেই ছেড়ে দিয়েছে চট্টগ্রামের পটিয়া থানার পুলিশ
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে এ অভিযোগ উঠেছে।
অবশ্য পটিয়া থানার ওসি এবং সংশ্লিষ্ট এসআইও ঘটনাটি স্বীকার করেছেন । শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে পটিয়া উপজেলার কালারপুল এলাকার কান্তিরহাট বাদামতল থেকে যুবলীগ নেতা বুলবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বোরহানের নেতৃত্বে একটি টিম। বুলবুল পটিয়ার কোলাগাঁওয়ের হাসেম সওদাগর বাড়ির আবদুল করিমের ছেলে। স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, যুবলীগ নেতা ও বহু মামলার চিহ্নিত আসামি বুলবুল পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছোট ভাই নবাব উল্লাহ চৌধুরীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন। মূলত তাদের তদবির ও চাপের মুখে পটিয়া থানার পুলিশ বুলবুলকে আটক করেও ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
বুলবুলের বিরুদ্ধে হত্যামামলাসহ রয়েছে আরও অসংখ্য মামলা। এরপরও তিনি সাংসদের আশীর্বাদ নিয়ে বীরদর্পে চলাফেরা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৫ সালের মে মাসে পশ্চিম পটিয়ার শিকলবাহায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণাধীন একটি বেসরকারি বিদ্যুৎ প্লান্টের ঠিকাদারি কাজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাত তৈরি হলে যুবলীগ নেতা বুলবুল আলোচনায় আসেন।
ওই বছরের ৩ মে পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর ছোট ভাই নবাব উল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে মিলে যুবলীগ নেতা বুলবুল পাথর সরবরাহের একটি ঠিকাদারি কাজে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের অপর একটি গ্রুপের সঙ্গে। এ ঘটনায় নবাব উল্লাহ চৌধুরী ও বুলবুলসহ একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়েরও করা হয়। এ প্রসঙ্গে পটিয়ার থানার উপ-পরিদর্শক মো. বোরহান উদ্দিন বলেন, ‘
আমরা বুলবুলকে গ্রেপ্তার করার পর দেখি সে মামলায় জামিনে আছে। তাই ওখান থেকে ছেড়ে দিয়েছি।’ তবে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বোরহান উদ্দিন জানালেন অন্য কথা। তিনি বলেন, ‘আমরা বুলবুল নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ভুল করে এ বুলবুলকে আটক করার পর দেখি সে জামিনে আছে তাই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।