পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃপঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার ৫নং বুড়াবুড়ি ইউপির নয়াবাড়ি গ্রামের শ্বশুর পবিরারের সঙ্গে ঐ একই গ্রামের জামাইসহ পরিবারের হাতাহাতিতে শ্বশুর মতিয়ার রহমান(৫০)-এর মৃত্যু হয়েছে। ৮জুন/১৯ শনিবার সন্ধ্যা আনুমানিক ৬:৩০ ঘটিকার সময় নাওয়া পাড়া নামক বাজারে উক্ত ঘটনাটি ঘটে।
মৃত ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানাযায়, মো: আবু হাসান(২২) পিতা- হবিবর ইসলাম(হকি) এর সঙ্গে ঐ একই গ্রামের মোছা: নাজমা খাতুন(১৮) পিতা- মৃত মতিয়ার রহমানের সহিত ৬-৭মাস পূর্বে এফিডেভিডে বিয়ে হয়। জোড়ালো ভালবাসার বিয়ের পর মেয়ের বাবা মতিয়ার রহমান পাষান্ড জামাই আবু হাসানকে ১ লক্ষ টাকা যৌতুকের বিনিময়ে মেয়ের ভবিষ্যৎ লক্ষে দু’টি গরু কিনে দেয়। তাতেও পাষান্ড জামাই হাসানের মন জয় করতে পারেনি মৃত্যু হওয়া শ্বশুর মতিয়ার।
আরোও জানা যায়, ছেলে-মেয়েটিকে দেখতে না পেরে বিভিন্ন অজুহাতে অত্যাচারে লিপ্ত ছিলেন। বিভিন্ন অজুহাতের কারণবসত: মেয়েটির গর্ভে ধারণকৃত বাচ্চা অবৈধ বলে গুজব তুলে ছেলের পরিবার। অন্যদিকে যৌতুকের অত্যাচারেও প্রতিনিয়ত লিপ্ত ছিলেন বলে জানান মেয়ের পরিবার।
মৃতের মেয়ে নাজমা খাতুন জানান, আমাকে সে পূর্ব ভালবাসার মধ্য দিয়েই বিয়ে করেন। বিয়ে করার কয়েকমাস পর আমার গর্ভে বাচ্চা ধারণ করলে অবৈধ বলে অত্যাচারে লিপ্ত ছিলেন অত:পর আমার বাবার কাছ থেকে ১লক্ষ টাকা দিয়ে পোষা গরু কিনে নেয় পাষান্ড স্বামী। তারপরেও বিভিন্নভাবে আমার মানহানি করার লক্ষে বিভিন্ন অজুহাতে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতি বৈঠক করেন বেশ কয়েকবার। গত ৫মে/১৯ আমার গর্ভে ধারণকৃত বাচ্চাটির প্রসব হয়। বাচ্চা প্রসব হওয়ার পর মেয়েটির উপর বয়ে আসে অত্যাচারের নতুন ধারা বাচ্চাটি অবৈধ।
নাম বলতে অনিচ্ছুক ঘটনাস্থলের দোকানদার সূত্রে জানাযায়, মৃত মতিয়ার রহমানকে ছেলেসহ তার বাবা, চাচা ও চাচাত ভাই নাওয়া পাড়া বাজারের পাকা রাস্তায় হাতাহাতি করতে থাকলে লোকজন তাদের নাওয়া পাড়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে পাঠিয়ে দেয়। পরে শোনা যায় মতিয়ার কিলঘুসির মার খেয়ে পড়ে যায় অত:পর পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যাইতে জগদল নামক বাজারের কাছে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে ৫নং বুড়াবুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: তারেক হোসেন জানান, ঘটনায় উল্লেখিত মেয়ে এবং ছেলে উভয়ের পরিবারের মধ্যে যৌতুক ও বাচ্চা নিয়ে কৌতুহল ছিল। পরিষদে আমি বেশ কয়েকবার তাদের বিচার শালিসী করেছি। আমার পক্ষে তাদের বিচার অমানা ভাব বুঝে কোর্টে যাওয়ার সু-পরামর্শ দিয়েছি।
Discussion about this post