তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, জঙ্গিদমন ও মাদকবিরোধী অভিযান ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই পরিচালিত হবে। কারণ মানুষ বাঁচাতে দানবের বিরুদ্ধে এ অভিযান। আর দানবাধিকারের জন্য মায়াকান্নার রাজনীতির দিন শেষ।
শনিবার রাজধানীর পল্টনের মুক্তি ভবন মিলনায়তনে ন্যাপের (মোজাফফর) প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল মজিদ বেলাল স্মরণে ১৪ দল আয়োজিত সভায় তিনি একথা বলেন।
সভায় সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সিপিবি সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।
হাসানুল হক ইনু বলেন, শেখ হাসিনার সরকার কখনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের অনুমতি দেয় না। একাত্তরের গণহত্যা, বঙ্গবন্ধু হত্যা, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলাকারীদের মধ্যে স্বীকৃত খুনিদেরও বিনাবিচারে হত্যা করা হয়নি। বহুবছর পরে হলেও শেখ হাসিনার সরকারই তাদের বিচারের আওতায় এনেছে।
অপরদিকে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়া হচ্ছে বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের হোতা এবং বিএনপি হচ্ছে সকল বিচার বহির্ভূত হত্যাকারীদের আশ্রয়দাতা’ উল্লেখ করে ইনু বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দায়মুক্তির আইন করে তাদের পুরস্কৃত করেছিল জিয়া, ক্লিনহার্ট অপারেশনে আশিজনের অধিক মানুষ হত্যার দায়মুক্তির আইন করেছিল খালেদা জিয়া। তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ও সা¤প্রতিককালে আগুনসন্ত্রাসে একশ’রও বেশি মানুষ পুড়িয়ে হত্যার অপরাধীদেরও বাঁচানোর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
তথ্যমন্ত্রী এসময় ন্যাপের (মোজাফফর) প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল মজিদ বেলালকে জঙ্গি ও মাদক দমনের সাহসী সৈনিক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, জঙ্গি ও মাদক দমনে সফলতার মাধ্যমেই অধ্যক্ষ বেলালের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে।,