চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডাঃ শাহাদাত হোসেন বলেছেন, ১/১১ এর ষড়যন্ত্রকারী মঈন উদ্দিন ও ফখরুদ্দিনকে বাংলাদেশের মানুষ মাইনাস করে দিয়েছে। বর্তমান সরকারের যারা বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করতে চায়, তারাও একদিন জনগণের কাছ থেকে মাইনাস হয়ে যাবে।
তিনি বৃহম্পতিবার (১৯জুলাই) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে নাসিমনভবনস্থ দলীয় কার্যালয় মাঠে কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
এসময় ডা: শাহাদাত আরো বলেন,লুটপাট করতে করতে সব শেষ করে এখন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের টাকাও চুরি করছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সরকারী আমানত ভল্টে রক্ষিত ৯৬৩ কেজি স্বর্ণ ২২ ক্যারেট সোনা অলৌকিকভাবে ১৮ ক্যারেট হয়ে গেছে। আজ দেশের সব ব্যাংক প্রায় দেউলিয়া হয়ে গেছে। আর এই লুটপাটের হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। দশ বছরে ৬ লক্ষ চল্লিশ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির হিসাব দেশের জনগণকে দিতে হবে।
সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর বলেছেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন বলতে নিজেদের দলীয় উন্নয়ন বোঝে। সরকার দেশে উন্নয়নের নামে লুটপাটতন্ত্র, আর সাধারণ ছাত্রদের উপর হাতুডিতন্ত্র চালাচ্ছে। নিজেদের লুটপাটকে আড়াল করতে বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারান্তরীন করেছে। টাকা আত্মসাতের যে মামলায় তাকে সাজা দিয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বেগম জিয়া কোন টাকা আতœসাত করেনি, সব টাকা ব্যাংকে জমা আছে এবং জিয়া অরফ্যানেজ ট্রাস্টের ২ কোটি টাকা সুদে-আসলে বৃদ্ধি পেয়ে ৬ কোটি টাকা এক্যাউন্টে জমা আছে।
সিনিয়র সহসভাপতি আবু সুফিয়ান বলেন, ত্যাগ এবং অটল নেতৃত্বের মাধ্যমে নেলসন ম্যান্ডেলা যেমন বিশ্বব্যাপী অধিকার বঞ্চিত মানুষের আশায় পরিণত হয়েছেন, তেমনিভাবে আমরা যারা মুক্তি আর গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাদের জন্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্ব এবং ত্যাগ গণতান্ত্রিক আন্দোলনের প্রেরণা ও সাফল্যের দিক নির্দেশনা হয়ে থাকবে।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, হাজী মো: আলী, সৈয়দ আজম উদ্দিন, সুবক্তিগীন সিদ্দীকি মক্কি, হারুন জামান, সাবেক কমিশনার মাহাবুবুল আলম, ইকবাল চৌধুরী, এস এম আবুল ফয়েজ, উপদেষ্টা নবাব খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক, এস এম সাইফুল আলম, মো: শাহ আলম, ইস্কান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আনোয়ার হোসেন লিপু, গাজী মো:সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনজুর আলম চৌধুরী মনজু, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী মো: তৈয়ব, প্রচার সম্পদক সিহাব উদ্দিন মুবিন, সহ সাধারণ সম্পদক শামছুল আলম (ডক) হাজী সালাউদ্দিন, শামছুল আলম, জি এম আইয়ুব খাঁন, আবু জহুর, জাহাঙ্গীর আলম, নগর বিএনপির সম্পাদক বৃন্দ, হামিদ হোসাইন, হাজী নুরুল আক্তার, ডা: এস এম সরওয়ার আলম, নুরুল আকবর কাজল, দিদারুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ আলী, আবদুল বাতেন, থানা বিএনপির সভাপতি: মনজুর রহমান চৌধুরী, হাজী বাবুল হক, মোশারফ হোসেন ডেপটি, সাইফুর রহমান বাবুল, মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন, ডা: নুরল আফসর, আবদুল্লাহ আল হারুন, সহ সম্পাদকবৃন্দ এ কে এম পেয়ারু, আবদুল হালিম স্বপন, মো: সেলিম, মো: রফিকুল ইসলাম,মো: ইদ্রিস আলী, মো. শাহ জাহান, সেলিম উদ্দিন শাহিন, আজাদ বাঙ্গালী, ইসমাইল বাবুল, আরিফ মেহেদী, ইউনুছ চৌধুরী হাকিম, সাবের আহাম্মদ, সফিক আহাম্মদ, আবুল খায়ের মেম্বার, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, আবদুল হাই, আলী আজম, সালাউদ্দিন লাতু, মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা, সাধারণ সম্পাদক জেলি চৌধুরী, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক, আলহাজ্ব জাকির হোসেন, সাহাব উদ্দিন, মনির আহাম্মদ চৌধুরী, মো: নুর হোসাইন, হাজী বাদশা মিয়া, রোকন উদ্দিন মাহামুদ, আবদুল কাদের জসিম, নগর বিএনপির সদস্য, কাউন্সিলর জেসমিনা খানম, ইউসুফ সিকদার, মো: ইলিয়াছ, আলী ইউসুফ মো: তসলিম, সাহেদা বেগম,আইয়ুব খাঁন, হাজী মো. মহসিন, নগর ছাত্রদলের সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন চৌধুরী, জিয়াউর রহমান জিয়া কেন্দ্রীয় সদস্য সদস্য শেখ রাসেল প্রমুখ।
Discussion about this post