অন্তর আহম্মেদঃনওগাঁয় জোর পূর্বক মৎস্যজীবিদের বিলে মাছ ধরতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সদরের শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর দিঘলীর বিল বাংগালগাড়ীতে এ ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় বিলভবানীপুর পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির সভাপতি বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন
অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা গেছে সদর থানার শিকারপুর ইউনিয়নের বিলভবানীপুর গ্রামের পূর্বপাড়া মৎস্যজীবিরা দীর্ঘ ৬০-৭০ বছর যাবৎ ক্যানাল গুলো ভোগ দখল করে মাছ আহরন করে আসছিল।
এমতাবস্থায় গত ১২ ইং ডিসেম্বর আসামীগনের অবৈধ ভাবে শৈলগাছী ক্যানালে এবং দাঁড়াতে সূতী জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছ আহরন করার কারনে দিঘলীর বিলে আমরা মৎস্যজীবিরা মাছ ধরিতে পারিনা। বিলভবানীপুর গ্রামের মৃত রহমান এর ছেলে মোঃ রাজা, শৈলগাছী পালোয়ান পাড়া আজি সরদার এর ছেলে মোঃ স্বপন ঐ গ্রামের মোতাহার এর ছেলে মোঃ সেলিম শৈলগাছী হাটখলার রহমানের ছেলে মোঃ সইদুর, শিংবাচা সরদার পাড়ার, জব্বার এর ছেলে মোঃ নান্টু সহ ১০-১৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল জেলেদের ১৫০টি বানা ১০ পেটি জাল ৫০টি খলশান, বাঁশের খুটি কেটে ঐ খাল তারা দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে।
তাতে বাদির ক্ষতি হয়েছে আনুমানিক ২,৫০,০০০/-(দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা। জেলেদের মাছ আহরন করতে নিষেধ করেন এবং জেলেরা তার কারন জানতে চাইলে তারা বলেন ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা চাঁদা দিতে হবে। না হলে এখানে মাছ ধরা যাবে না। এমতাবস্থায় জেলেরা পুনরায় মাছ ধরার জন্য বিলে গেলে তারাও তাদের লাঠিয়াল বাহিনী দ্বারা বাদিকে বিভিন্ন ভয় ভীতি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। এ ঘটনায় বিলভবানীপুর পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি ক্ষুদ্র সমবায় সমিতির সভাপতি তমছের আলী বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরোও ১০-১৫ জনকে অজ্ঞতা দেখিয়ে সদর থানা একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিলভবানীপুর গ্রামের মৎস্যজীবি গুলজার আলী জানান আমরা মাছ ধরার জন্য জাল বানা, খলশান, বাঁশের খুটি দিয়েছিলাম হঠাৎ করে তারা এসে আমাদের বানা, জাল, খলশান, বাঁশের খুটি কেটে ফেলে এবং বলে ২,০০,০০০/-(দুই লক্ষ) টাকা দিলে এখানে মাছ ধরতে দিব, না হলে দিবনা। বিলভবানীপুর পূর্ব পাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি জানান আমরা আমাদের বাপ, দাদার আমল থেকে দিঘলীর বিলসহ পাশ্ববর্তী খালে মাছ ধরে জিবিকা নির্বাহ করে আসছি।
হঠাৎ করে ১২ তারিখে রাজা, স্বপন, সেলিম, সইদুল, নান্টু এরা এসে আমার কাছ থেকে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আমি অসহায় দরিদ্র জেলে আমি ২ লক্ষ টাকা কিভাবে দিব। সেই টাকা অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদের খাল গুলো দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন হুমকি সহ আমাদের বিলে মাছ ধরতে দিচ্ছেনা।
আমি সমিতির পক্ষে থেকে সুষ্ট বিচার চাই। সরজমিনে অভিযুক্ত রাজার সঙ্গে দেখা করলে সে কোনো বক্তব্য দিতে পারিবেন না। এ বিষয়ে শৈলগাছী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এর সঙ্গে কথা বলে জানা যায় যে, তিনি দুই পক্ষকে আপোষ মিমাংসার চেষ্টা করছেন। এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন বিল ভবানীপুর পূর্বপাড়া মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতির একটি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে এর সুষ্ঠ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।