বিশেষ প্রতিনিধিঃনবী কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মুবারক হাতের মুবারক আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো ১৪৪২ চন্দ্রবছর আগে। যখন চাঁদ দ্বিখণ্ডিত হয় তখন দ্বিখণ্ডিত হওয়া তো বহু দূর চাঁদ সম্পর্কে কারো কোন ধারণাই ছিলো না ঠিকমতো।
ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিলো এরূপ যে, তখনকার মক্কার কাফেররা হুজুরপাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নবুওয়াতকে অস্বীকার করে। তারা উনার কাছে নবুওয়াতের নিদর্শন চায়। তখন নবী করীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনার হাতের আঙ্গুলের ইশারায় চাঁদ কে দু’ টুকরো করে তাদের দেখিয়েছিলেন কিন্তু তাও অনেক বড় বড় জাহেল ঈমান আনেনি।
এই মুবারক বিষয়টি পবিত্র কুরআনুল কারীমেও উল্লেখ করা হয়েছে। কুরআন শরীফে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, কেয়ামত আসন্ন এবং চন্দ্র বিদীর্ণ হয়েছে। তারা যদি কোনো নিদর্শন দেখে তবে (তা থেকে তারা) মুখ ফিরিয়ে নেয় এবং বলে, এটা তো চিরাচরিত যাদু (বৈ কিছু নয়)। (সুরা কামার শরীফঃ আয়াত শরীফ ১-৩) চাঁদ দিখন্ডিত হওয়ার বিষয়টি সহীহ হাদীসেও রয়েছে। আল্লামা ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি এ সম্পর্কিত হাদীস শরীফকে মুতাওয়াতির বলেছেন। (তাফসীরে ইবনে কাসীর ৪/২৭৬)
নিম্নে কয়েকটি হাদীস শরীফ উদ্ধৃত করা হল।
(১) হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমরা মিনায় নবী কারীম ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাথে ছিলাম। তিনি চন্দ্রকে দিখন্ডিত করলেন এবং এক খন্ড পাহাড়ের পশ্চাতে চলে গেল ও এক খন্ড পাহাড়ের উপরে রইল। তখন রাসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা সাক্ষী থেকো। (সহীহ বুখারী শরীফ ১/৫৪৬; সহীহ মুসলিম শরীফ ২/৩৭৩)
(২) হযরত আনাস ইবনে মালেক রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বর্ণনা করেন, মক্কা শরীফ বাসীরা রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার কাছে (নবুওয়্যাতের) কোনো নিদর্শন দেখতে চাইল। তখন রাসূলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মহান আল্লাহ তায়ালা উনার হুকুমে চন্দ্রকে দিখন্ডিত করে দেখিয়ে দিলেন। তারা (সাহাবায়ের কিরাম ও কাফেররা) দেখতে পেল যে, চাঁদের দুই খন্ড হেরা পাহাড়ের দুই পার্শ্বে চলে গিয়েছে।
Discussion about this post