৭১ বাংলাদেশ প্রতিনিধিঃকোন তদন্ত না করে নারী ও শিশু নিযার্তন মামলার মনগড়া প্রতিবেদন দিয়ে এক বৃদ্ধকে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে হয়রাণীর শিকার ভুক্তভোগী মনছফ আলী(৭০) এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বৃদ্ধ মনছফ আলী বলেন,২০১৪ সালে তার ছেলে প্রবাসী মেসকাত উদ্দিনের সাথে একই গ্রামের মো. সোলাইমানের মেয়ে ইয়াছমিন আকতারের সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা কারণে তারা স্বামী স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোন সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে তাদের সংসারে একটি কন্যা সন্তানের জম্ম হয়। তার ছেলের বউ ইয়াছমিন আকতার তাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে থাকে। দিন দিন তার চলা ফেরা আচার আচারণ বেপরোয়া হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে ২০১৯ সালের ২১ ফেব্র“য়ারী তার স্বামী মেসকাত উদ্দিন দেশে থাকা অবস্থায় সকালে বাজারে গেলে কাউকে কিছু না বলে ইয়ামিন তার বাবা ভাইকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে চলে যায়। পরের দিন বৃদ্ধ মনছফ আলী থানায় সাধারণ ডায়রী করেন। ২০১৯ সালের ৭ মার্চ তার ছেলে মেসকাত স্ত্রী ইয়াছমিনকে প্রবাস থেকে তালাক প্রদান করেন। যা ইতিমধ্যে কার্যকর হয়েছে। তালাক দেয়ার পর ইয়াছমিন আকতার বাদী হয়ে গত ২৪ মার্চ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য বোয়ালখালী সমাজ সেবা কর্মকর্তাকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নিদের্শ দেন। কিন্তু উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন কোন কিছু যাচাই বাচাই না করে আদালতে মামলাটির মনগড়া প্রতিবেদন দাখিল করেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তার দেয়া প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারী করলে মিথ্যা মামলায় এ বৃদ্ধ বয়সে কারাবাস করতে হয়। তাই তিনি ঘটনাটির সুষ্ট তদন্ত দাবী করেন। তিনি অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন, ইয়াছমিনের বাবা সোলাইমান ও তার ছেলে সাইফুল বোয়ালখালীর চরখিজিরপুর গ্রামের চিহিৃত হুন্ডী,ইয়াবা ও মাদক ব্যবসায়ী। তারা গত ৭ জুলাই বিকেলে বাকলিয়া মিয়া খাঁ নগর এলাকা থেকে সাইফুল ও জামালসহ ৮/৯জন লোক মনছফকে মারধর করে জোর পূর্বক গাড়ীতে করে বোয়ালখালী থানায় নিয়ে আসে। গাড়িতে থাকাবস্থায় আমাকে হত্যার হুমকী দেয়। গত ১৭ জুলাই আমি আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হই। তিনি সমাজ কর্মকর্তার দেয়া প্রতিবেদনের পূর্ণ তদন্ত দাবী করে সত্য ঘটনাটি উদঘাটনের জোর দাবী জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, মনছফ আলীর মেয়ে রাশেদা আকতার,সুলতানা রাজিয়া,মেয়ে জামাই মো. পারভেজসহ স্থানীয় এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন শেষে উপজেলা শহিদ মিনরি চত্বরে এলাকাবাসী এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি স্মরকলিপি প্রদান করেন ভুক্তভোগী পরিবার ও এলাকাবাসী। বোয়ালখালী উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, আদালতের নির্দেশে তিনি মামলাটি তদন্তে করে যা পেয়েছেন তাই প্রতিবেদন দিয়েছেন।
Discussion about this post