কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভার ময়লা আর্বজনা অবাধে ফেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি মহাসড়ের নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশ র্কাযালয় ও নাজিরহাট মেডিকেল রাস্তার মাথার মাঝামাঝি অংশে। এই সড়কের পাশ ঘেষেই নাজিরহাট হাইওয়ে পুলিশের কার্যালয়, নাজিরহাট আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়, নাজিরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন আবাসিক-অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান অবস্থিত। মাত্র কয়েক’শ গজ দুরত্বেই অবস্থিত ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই সড়ক দিয়েই প্রতিদিন হাসপাতালের রোগী, বিদ্যালয়ের শত শত শির্ক্ষাথী এবং হাজার হাজার মানুষের চলাচল থাকলেও ক্রমাগত সড়কের পাশে পৌরসভার আবর্জনা ফেলতে ফেলতে স্থানগুলো আর্বজনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। বৃষ্টিতে ভিঁজে রোদে শুঁকিয়ে আর্বজনাগুলো বিষাক্ত বর্জ্যে রূপান্তর হচ্ছে। এই শত শত টন ওজনের বর্জ্য সাপ্রতিককালের বন্যার পানিতে মিশে গ্রামীণ জনপদের বিভিন্ন পুকুরে নিপতিত হয়ে মানুষের ব্যবহার্য পানিকে বিষাক্ত করে তুলেছে। আবাদী জমিতে এই বর্জ্যরে কারণে ফলনেও এর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়,মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে নাজিরহাট পৌরসভার ট্রাকে করে মহাসড়ের পাশে ফেলা হচ্ছে এইসব আর্বজনা। একটু সামনে গেলেই দেখা যায়, নাজিরহাট আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের পূর্ব গেইটের বিপরীতে মহাসড়কের পাশ ঘেষে র্নিমাণ করা হয়েছে গরু-মহিষের খোঁয়াড় (বিক্রয় কেন্দ্র)। সড়কের পাশেই প্রায় এক’শ গজ এলাকাজুড়ে অবাধে ফেলা হচ্ছে ওই খোঁয়াড়ের আবর্জনা। নাজিরহাট পৌরসভা কর্তৃপক্ষসহ সরকারী, বেসরকারী প্রতিষ্টানের ফেলা এইসব ময়লা-আবর্জনা পরিবেশকে কতটুকু বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিচ্ছে তা ভ্রুক্ষেপ নেই কারোরই। এলাকার সচেতন মহল, পথচারী এই আর্বজনা ফেলানোর বন্ধে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি কামনা করেছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. ওহাব মিয়া এ প্রতিবেদককে ক্ষোভের সাথে বলেন, প্রশাসনের বড় বড় কর্তা-ব্যাক্তিরা এই সড়ক দিয়ে যায়ায়াত করেন। অথচ কেউই এর বিরুদ্ধে কোন ব্যাবস্থা নেয়না।’ খবর নিয়ে জানা যায়, এই আবর্জনার অসহনীয় র্দুগন্ধে ভাড়াটিয়া শূণ্য হয়ে ভাড়া বাসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে জনৈক আব্দুল মান্নানকে। এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন,মহা সড়কের পাশে এ ধরনের ময়লা-আর্বজনা ফেলা সম্পূর্ণ পরিবেশ বিরোধী কাজ। এতে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিও রয়েছে। এই আর্বজনাগুলো বন্যাার পানিতে মিশে কৃষজ ফলন, ব্যবহার্য পানির মাধ্যমে মানুষের দেহে নানা রোগের সঞ্চালন করতে পারে। এই আর্বজনা ফেলানো বন্ধের ব্যাপারে পৌরসভার মেয়রকে জানানো হয়েছে। নাজিরহাট পৌরসভার মেয়র এস.এম সিরাজুদ্দৌলাহ বলেন, উক্ত স্থানের জমির মালিকের অনুরোধে জমি ভরাটের জন্য আগে থেকেই ওই স্থানে ময়লা-আর্বজনা ফেলা হয়ে আসছে।’ স্বাস্থ্য ঝুঁকি এবং পরিবেশ বির্পযয়ের ব্যাপারে মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, তিনি এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা দীপক কুমার রায় বলেন, আজের মধ্যে একটা ব্যবস্থা গ্রহন করবো। ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু বলেন, নাজিরহাট পৌরসভার ময়লা আর্বজনার স্তুপ কওে রাখর পাশে যেহেতু একটি সরকারী হাসপাতাল সেটি বিবেচনায় রাখা দরকার ।
Discussion about this post