এস এম মনিরুজ্জামানঃদেশ-বিদেশে আলোচিত বিষয় নুসরাত হত্যা।
নুসরাত হত্যা যতটুকু আলোচিত হয়েছে।দেশের ১৭ কোটি মানুষের দাবি, এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।যেটা আরো বেশী আলোচিত হয় শাস্তির বিষয়টি নিয়ে।
দেশের এবং প্রবাসীর সকল মানুষ খুনে মরমহত, নুসরাতের লোমহর্ষক ঘটনা কে নিয়ে।
নুসরাত হত্যার বিচার না পেলে আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসী সাংবাদিক নেতা মাওলানা হাজারী।
প্রবাসী সাংবাদিক যদি নুসরাত হত্যার দাবিতে আত্মহত্যার চ্যালেঞ্জ ছুটতে পারে?
তাহলে দেশের ১৭ কোটি মানুষের কি করা উচিত।?
৩১শে ডিসেম্বর ২০১৮ নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দিনের বেলা যুবতি মেয়ের সামনে তার মাকে দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয়, ১৭ কোটি মানুষ এর সাক্ষী,
ধর্ষক রুহুল আমীনের ফাঁসির দাবি উঠলেও,ফাঁসি কিন্তু হয়নি?
গ্রেফতার হলেও কয়েকদিন পর ছাড়া পেয়ে যায়।
২০১৮ সালে বরিশালের বানারিপাড়ায় মা-মেয়েকে একসাথে ধর্ষন করে মাথা নেড়ি করে দেয় প্রভাবশালী তুফান, তুফানেরও একটা বিচার হয়েছে, তবে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়নি।
এভাবে লোমহর্ষক অপরাধ করে গ্রেফতার হলেও সহজে ছাড়া পেয়ে গেলে অন্যেরা অপরাধ করতে দ্বিধা করবে কিভাবে?
যতগুলো লোমহর্ষক ঘটনা ঘটিয়েছে সেগুলো পূর্বে যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেত, তাহলে আজ নুসরাতের মতো বহু মেয়ের জীবন এভাবে যেত না যতবারই কোন না ,কোন মেয়ে কে এমন নিঃসংশ ভাবে খুন বা রেফ করা হয়েছে সেগুলোর সুষ্ঠু বিচার তো হয়নি। বরংচ সেই লাশ নিয়ে অথবা সেই ধর্ষণকারী মেয়ে কে নিয়ে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক ভাবে- প্রতিবাদ, ধর্না,তদন্ত,কয়েকসদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন, সমঝোতার চেষ্টা,ঘুষ দেওয়া,প্রভাবশালীদের লোক,ধমক-চমক,মেয়েটির চরিত্র নিয়ে গবেষণা,বোরকা পরে ছিলো কি না?সংবাদমাধ্যমে আলোচনার আসর,রাজনীতি করন,জাতি নির্ধারণ,গ্রেফতার হলেও হয়ে যায় জামিন,ফের ধর্ষন,শেষ পর্যন্ত মেয়েটির আত্মহত্যা।
দেশ-বিদেশের সকল মানুষের একটাই দাবি , এধরনের লোমহর্ষক মর্মাহত দুর্ঘটনার বিচার ধারাবাহিকভাবে না টেনে , দ্রুততম পদক্ষেপ নিয়ে দোষী ব্যাক্তিকে এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক ।যাতে মা -বোনের সম্মান অক্ষুণ্ন থাকে।এবং সেই সাথে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম কে কঠিন থেকে কঠিনতম শাস্তি প্রদান করা হোক,যা দেখে পুলিশের ভিতর দুষ্কৃতী যারা আছে তারাও ভালো হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা সঠিক এবং সুন্দর পরিবেশে ফিরে আসে এবং পুলিশের প্রতি দেশের মানুষের আস্থাও ফিরে আসে।