পঞ্চগড় জেলা প্রতিনিধিঃ পঞ্চগড় জেলাধীন তেঁতুলিয়া উপজেলার ৬নং ভজনপুর ইউনিয়নের মূর্খাজোত গ্রামের সামাউন (৫০) পিতা- মৃত আসির উদ্দিন কে বেধুম মারপিঠ করেছে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারী বেপরোয়া ব্যক্তিরা। গত ২১ মে/২০১৮ রোজ সোমবার সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় উক্ত ঘটনাটি ঘটে বলে জানাগেছে । সাামাউনকে মারপিঠ কারী ব্যক্তিরা হলেন, সলেমান (৩৫),
নাজির(৩০) উভয়ের পিতা- খেরু মোহাম্মদ, শাহিদুল ইসলাম(৩৪), পিতা- জবোদ, সকলের সাং- সারাবিগছ। মারপিঠের পরোক্ষণে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত সামাউনকে আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি হাসপাতালের দু’তলায় ২০৯ নং পুরুষ ওয়ার্ডের বেড নং- ২ সংলগ্ন ফ্লোরে চিকিৎসাধীন আছেন।
গুরুত্বর আঘাত প্রাপ্ত সামাউন জানান, আমি গত ১৩ ফেব্রুয়ারি/২০১৭ ইং তারিখে মহসিন আলী পিতা- ইদ্রিস আলী সাং- শান্তিনগড় ও ইব্রাহীম খলিল পিতা- আক্কাস আলী সাং- মূর্খাজোত এর নিকট আমার অভাবী সংসারে নগদ টাকার প্রয়োজন হইলে ভদ্রেশ্বর মৌজার জে.এল.নং- ২৬, এস.এ খতিয়ান নং- ৫২, এস.এ দাগনং- ৬১০ এর ১.৪২ একর জমির মধ্যে ০.৫০ একর জমি উভয়ের সহি স্বাক্ষরে চুক্তিপত্র ঘোষণা করি। অতপর পাথর উত্তোলন শেষ হইলে উপরোক্ত ব্যক্তিগণসহ আমিরুল হক(৪২), আইবুল ইসলাম (৩৮), আনারুল হক (৪৫) সকলের পিতা- কসির উদ্দিন, সাং- মূর্খাজোত এবং কমি(৬০) পিতা- এমার উদ্দিন বেপরোয়াভাবে আমার ৬১০ দাগের পূর্বাংশে রাতারাতি বালি ফেলিয়ে পাহাড় বানিয়ে দেয়।
তিনি আরোও জানান, প্রথম বালি ফেলাতে গত ১ এপ্রিল/১৮ ইং তারিখে বাধা দিতে গেলে আমাকে, আমার স্ত্রী ও আমার কন্যাকে নির্মমভাবে মারধর করে। এতে আমি আমার স্ত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্স তেঁতুলিয়ায় ভর্তি করালে সেখান থেকে আধুনিক সদর হাসপাতাল পঞ্চগড়ে রেফার্ড পূর্বক ১ এপ্রিল থেকে ৫এপ্রিল/১৮ ইং তারিখ পর্যন্ত চিকিৎসাধীনে রাখি। আমি গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে মৌখিক বিচার দিলে তাতেও বেপরোয়া পাথর উত্তোলনকারী ব্যক্তিবর্গগণ কোনো তোয়াক্কা না করে আমার সমতল ভূমিতে বালি ফেলিয়েই চলছে।
অদ্য গত ২১ মে/২০১৮ রোজ সোমবার সকাল ৯:৩০ ঘটিকায় আবারও বাধা দিতে গেলে সলেমান,
নাজির, শাহিদুল ইসলাম একজোট হইয়া সন্ত্রাসী কায়দায় সামাউনকে বেধুম মারধর করে।
এতে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো: জহুরুল হককে মুঠোফনে উক্ত ঘটনার সংবাদ জানালে তিনি তাৎক্ষণিক এ.এস.আই সাজেদুর রহমানের সহিত একজন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে দেয়।
অতপর এ.এস.আই সাজেদুর রহমানকে ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ঘটনাটি সত্য। আমি মারপিঠে ভুক্তভোগী ব্যক্তির স্ত্রী রোকেয়া বেগমকে থানায় এসে অভিযোগ করার পরামর্শ দিয়েছি। অভিযোগ দিলেই আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখবো।