বিশেষ প্রতিনিধিঃমহানগর পুলিশে কর্মরত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা বলেন, ‘‘কনস্টেবল কিংবা পুলিশ সুপার বলে কোনও কথা নেই। পুলিশ আইন ও সংবিধান অনুযায়ী ইমার্জেন্সি সার্ভিস হিসেবে যখন যার প্রয়োজন, তার ডিউটিতে থাকা বাধ্যতামূলক। এখানে মানবিকতা কিংবা অমানবিকতা বলে কোনও শব্দ নেই। পুলিশের আইন অনুযায়ী, পুলিশ সদস্যরা ২৪ ঘণ্টা অন ডিউটিতে থাকবেন। আইনেই পুলিশ বাহিনীকে ‘ইমার্জেন্সি সার্ভিস’ হিসেবে ঘোষণা করা আছে ।
তিনি বলেন,‘পুলিশের ইউনিট ভেদে ডিউটির ধরনও ভিন্ন হয়। যেমন, যেসব পুলিশ সদস্য অফিসিয়াল দায়িত্বে থাকেন, তারা সবসময় না পারলেও প্রায়ই সাপ্তাহিক ছুটি ভোগ করার সুযোগ পান। কিন্তু থানায় কিংবা অন্য ইউনিটগুলোতে এই সুযোগ নেই। ডিউটি অফিসার নামে থানায় সাব-ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার একজন দায়িত্ব পালন করে থাকেন। দুই শিফটে দু’জনকে ১২ ঘণ্টা করে ২৪ ঘণ্টা দায়িত্ব পালন করতে হয়। তিন জন হলে আট ঘণ্টা করে ডিউটি হতো। কিন্তু সেই জনবল আমাদের নেই।
পুলিশ সদস্যরা মনে করেন, জমা থাকা অতিরিক্ত ছুটির বিনিময়ে যদি আর্থিক সুবিধা দেওয়া হতো, তাহলে ছুটি নিয়ে এত কথা উঠতো না। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্যেও পুলিশ সদস্যদের বাড়তি কোনও সুবিধা দেওয়া হয় না। সেজন্যেও ওভারটাইমসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো উচিত। বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনের জন্যে আর্মড পুলিশের আলাদা একটি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। কনস্টেবল থেকে এএসআই পদমর্যাদার সদস্যরা বিভিন্ন পোস্ট বা স্থানে দায়িত্ব পালন করে থাকেন।
এপিবিএন সূত্র জানায়, ছয় ঘণ্টা ডিউটি শেষে ১২ ঘণ্টা পর পুনরায় তাদের ডিউটিতে যেতে হয়। ফলে দিনে দু’বার ডিউটি করতে হচ্ছে এপিবিএন সদস্যদের। তাদের সাপ্তাহিক কোনও ছুটি নেই। তবে আবেদন করলে দু’তিন মাস পর ৮ থেকে ১০ দিনের ছুটি পেয়ে থাকেন কনস্টেবলরা।অন্যদিকে এসআই, ইন্সপেক্টর, এএসপি ও এডিশনাল এসপি পদের কর্মকর্তারা প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ডিউটি করে থাকেন।
অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কথা বলতে চাননি। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কনস্টেবল বলেন, আমাদের কোনও সাপ্তাহিক ছুটি নেই। ফলে নিজের প্রয়োজনীয় কাজ থাকলেও সেগুলো করা কঠিন হয়ে পড়ে। সব সময় ছুটি চেয়েও পাওয়া যায় না। এসব কারণে পরিবার থেকে অনেকটা বিছিন্ন থাকতে হয়।