এস এম মনিরুজ্জামান:সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সদস্য পদ দীর্ঘদিন না দেওয়ায় দু’গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ঘটনা ভিন্নখাতে নিতে চলছে ষড়যন্ত্র।গ্রুপ লিডার অধ্যাপক আবু আহমেদ ও আবুল কালাম আজাদের দৌরাত্বে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাব ও জাতির বিবেক সাংবাদিক সমাজ আজ চরম ধ্বংশের মুখে।
ষড়যন্ত্র করে দীর্ঘদিন প্রেসক্লাব তাদের নিয়ন্ত্রণে রেখে ২০/২৫ বছর যারা প্রকৃত সাংবাদিক হিসেবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন আজ অবধি তাদের মতাদর্শী না হওয়ায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সদস্য পদ পায়নি। এব্যাপারে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের অধিকাংশ সাংবাদিক ও নতুন সদস্য পদ প্রত্যাশী শতশত সাংবাদিক সাতক্ষীরার স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি এমপি’র সরনাপন্ন হয়। এসময় এমপি রবি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে তাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্য পদ দেওয়ার আহবান জানান। তাতেই বাদ সাধে প্রেস ক্লাবের কয়েকজন ব্যক্তি।
সেখান থেকে এমপি রবির বিরুদ্ধে শুরু করে কঠিন ষড়যন্ত্র। সাতক্ষীরায় যে কোন অনিয়ন দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হয় তাতে বিভিন্ন কৌশলে ষড়যন্ত্রকারীরা এমপি রবির নাম জড়িয়ে দেয় এবং ষড়যন্ত্র করে একজন মুক্তিযোদ্ধা এমপিকে প্রেসক্লাবে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে। সাংবাদিকদের সদস্য দেওয়ার কথা বলে কিছু দরখাস্ত জমা নিয়ে কালো তালিকাভূক্ত করে তাদেরকে প্রেসক্লাবে প্রবেশে নিষেধাঙ্গা জারী করে প্রেসক্লাব।
দীর্ঘদিন ধরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সদস্য পদ না পাওয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে সাংবাদিকদের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছিল। সেই উত্তেজনার জের ধরে বৃহস্পতিবার ৩০ মে সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে রড এবং লাঠিসোটা তৈরী থাকা আবু আহমেদ ও আবুল কালামের পেটুয়া বাহিনী ঐসব সাংবাদিকদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে।
এসময় প্রেসক্লাবের বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলায় ৮জন সিনিয়র সাংবাদিক ও সহযোগি সদস্য মারাত্মক জখম ও আহত হয়। পরে তাদেরকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর মধ্যে এশিয়ান টিভির সাতক্ষীরা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান তুহিন, দৈনিক প্রবাহের জেলা প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা পেসক্লাবের সাবেক কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, গ্রামের কাগজের জেলা প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য এস.এম রেজাউল ইসলাম, মাছরাঙা টিভি ও আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান উজ্জল, বাংলাদেশ প্রতিদিনের জেলা প্রতিনিধি ও সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি শামিম পারভেজ মারাত্মক জখম হয়েছে। এদের মধ্যে মনিরুজ্জামান তুহিনের অবস্থা আশংকাজনক।
ঘটনার সময় প্রেসক্লাবের ভিতরে বিভিন্ন রুমে আটকিয়ে হকিস্টিক, লাঠি, নিয়ে আবু আহমেদ, কল্যাণ ব্যানার্জি, আবুল কালাম আজাদ, মমতাজ আহমেদ বাপীর নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে সিনিয়র সাংবাদিকদের মারপিট করে ।একজন মুক্তিযোদ্ধা এমপিকে অমুক্তিযোদ্ধা বলে। যিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের তিন সর্বাধিনায়ক ব্যক্তির স্বাক্ষরিত মুক্তিযোদ্ধা সনদ। বীর মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো-০০০১। সচেতন মহল কি মনে করেন এরা কি সাংবাদিক না সন্ত্রাসী নাকি দেশদ্রোহী ? এরা নাকি জাতির বিবেক ও সমাজের দর্পণ। এদের কাছে জাতি ও সমাজ কোনভাবে নিরাপদ নয়। এদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে কঠিন শাস্তি চাই সাতক্ষীরার সাংবাদিক সমাজ। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে সাতক্ষীরার নির্যাতিত সাংবাদিক সমাজ