তপু রায়হান রাব্বীঃ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় ১৯ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার ছোট ভাইয়ের হাতে খুন বড় ভাই মোঃ বাহার মিয়া (১৮)।৭১ বাংলাদেশ প্রতিবেদক কে ঘটনার বিষয়ে মৃত বেক্তির বাবা জানায় মোঃ আল হেলাল বালা (৪০), আমার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে মোঃ বাহার মিয়া (১৮), ত্রিশাল মৈত্রী কলেজে একাদশ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। মেজো ছেলে আসামী মোঃ আজাহার মিয়া (১৩), ভরাডোবা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে এবং ছোট ছেলে মোঃ মোজাহার মিয়া (৯), প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় । মেজো ছেলে আজাহার লেখাপড়ায় অমনুযোগী, স্কুলে যেতে চায়না। আজাহারকে স্কুলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করিলে গত ১৬ই এপ্রিল রোজ সোমবারে আজাহার কাউকে কিছু না বলে বাড়ী থেকে পালিয়ে যায়। আজাহার বাড়ীতে ফিরে না আসায় তার বাবা ও বড় ছেলে বাহার আজাহারকে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করিতে থাকে। পরে ১৯ই এপ্রিল রোজ বৃহস্পতিবার আজাহারকে বাহার পুরুড়া গ্লোরী স্প্রিনিং মিল এলাকায় পেয়ে বাড়ীতে যাওয়ার জন্য বললে আজাহার বাড়ীতে যাবেনা এবং লেখাপড়া করবেনা বলে জানায় বাহারকে। পরে আজাহারকে জোর পূর্বক বাড়ীতে আনার চেষ্টা করলে পুরুড়া নারাঙ্গীপাড়া আব্দুল আলী একাডেমী হইতে আনুমানিক ২০০ গজ দক্ষিনে ধান ক্ষেত সংলগ্ন পায়ে হাটার রাস্তা দিয়ে, আসার সময় বাহার এবং আজাহার দস্তাদস্তি শুরু করলে দস্তাদস্তির একপর্যায়ে আজাহার লোহার প্যারাগ দিয়া বাহারের বুকে আঘাত করে। বাহার মিয়া আঘাত প্রাপ্ত হয়ে চিৎকার করে মাটিতে ডলে পড়ে যায়। বাহারের চিৎকার শুনিয়ে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসতে থাকলে আজাহার দৌড়ে পালিয়ে যায়। বাহারের অবস্থার অবনতি দেখে বাহারকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য-কমপ্লেক্সে নিয়ে আশা হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাহারকে মৃত ঘোষনা করে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ, মোঃ মামুন-অর-রশিদ (পিপিএম)। পরে লাশ ময়নাত্যদন্তের জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে পাঠানো হয়।