নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃকরোনা ভাইরাসের প্রভাবে ভালো নেই নওগাঁর আত্রাই উপজেলার মৃৎশিল্পীরা।উপজেলার ছোট যমুনা নদীর ও আত্রাই নদীর তীরবর্তী দাঁড়িয়ে থাকা ভবানীপুর ও নন্দনালী পালপাড়া যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা একটি স্বর্ণালী ছবি। উপজেলার ভবানীপুর, রাইপুর, মিরাপুর, সাহেবগঞ্জ, বেওলা, পাঁচুপুর নন্দনালী সহ বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য কুটির নয়নাভিরাম মৃৎ শিল্পীদের বাসস্থান। যা সহজেই সবার মনকে পুলকিত করে। আর এ মৃৎশিল্প’র ঐতিহ্য আঁকড়ে থাকা পাল বংশের লোকদের টিকে থাকা যেন কঠিন হয়ে পড়েছে। এক সময় এ গ্রামগুলিতে মৃৎশিল্প’র জৌলুস ছিল।
এ শিল্পে জড়িয়ে ছিল এখানের শতাধিক পরিবার। হাতে গোনা কয়েকটি পরিবার কষ্টে-শিষ্টে তাদের পূর্ব-পুরুষদের এ পেশা ধরে রেখেছেন। কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে সম্পুর্নরুপে বন্ধ হয়ে গেছে এ মাটির কাজ। তাই এই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনকেই হতাশা হয়ে পড়েছে। এক সময় উপজেলার এসব গ্রামসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার পরিবারও প্রত্যক্ষভাবে এ শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। হাড়ি, পাতিল, কলসি, ব্যাংক, পিঠা তরির ছাঁচ, পুতুলসহ ছোট-ছোট খেলনা ইত্যাদি সব জিনিসপত্র তৈরি করতে। এখানকার তৈরি মৃৎশিল্পর অনেক সুনাম ও সুখ্যাতি থাকলেও এখন শুধুমাত্র দধির পাত্র ও পিঠার খালা তৈরি করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
এ অঞ্চল থালা পাত্রের কদর বেশী রয়েছে। একটি থালা তৈরিতে মাটি ও পোড়ানো বাবদ প্রায় ৫ টাকা খরচ হলেও তা বাজারে বিক্রি হয় ১০ টাকা। এর মধ্যই রয়েছে শ্রম ও মাল বহনের খরচ।ফলে লাভের মুখ তারা দেখে না। অথচ ঐ একটি থালা এক হাতে ঘুরে বাজারে খুচরা ক্রেতা কিনছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। ফলে সহজেই অনুমেয় মূল মুনাফা চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্ব ভোগীদের হাতে। ন্যায্য দাম না পাওয়ায় মৃৎশিল্পীরা এ পেশার প্রতি হতাশ পূর্ব-পুরুষদের এ পেশা ধরে রেখেছেন।
কিন্তু বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারনে সম্পুর্নরুপে বন্ধ হয়ে গেছে এ মাটির কাজ। তাই এই কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনকেই হতাশা হয়ে পড়েছে।