নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘একাত্তরের জননী’ রমা চৌধুরীর মতো একজন মহীয়সী নারী মহান মুক্তিযুদ্ধে চরম মূল্য দিয়েও তার জন্য কোনো প্রতিদান চাননি। আত্মমর্যাদাবোধ বিক্রি করে কারও কাছে হাত পাতেননি।শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) সদ্য প্রয়াত বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী স্মরণে নগরের শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত শোকসভায় তিনি এ কথা বলেন।
মাহতাব চৌধুরী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে রমা চৌধুরী নির্যাতিত হয়েছিলেন, আত্মীয়-প্রতিবেশীদের অবজ্ঞা পেয়েছিলেন। বাড়ি ঘর লুণ্ঠিত হলেও এ নিঃস্ব নারী মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছিলেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে নিজের বই বিক্রি করে চলেছিলেন এবং অনাথদের মুখে অন্ন তুলে দিয়েছিলেন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী বলেন, আমরা সমাজে যারা ভালো মানুষ হয়ে আছি তাদের মুখ লজ্জায় ঢেকে যাওয়া উচিত। শুধু নিজের জন্য ভাবা বা ভালো থাকা এবং আরও বেশি ভালো থাকার জন্য নানা রকম জোচ্চুরি করছি তাদের বিরুদ্ধে রমা চৌধুরী একটি প্রতিবাদ।
শিল্পকলা একাডেমি পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল আলম বাবু বলেন, রমা চৌধুরী চলে গেছেন ঠিকই কিন্তু তিনি এমন কিছু রেখে গেছেন যা দিয়ে সততা, শুদ্ধতা এবং মানবিকতার সুকৃতিগুলো উপলব্ধি করা যায়। বিলাস-লোভ-লালসামুক্ত বিশুদ্ধ সমাজ নির্মাণে মমতাময়ী রমা চৌধুরীর জীবন ও কর্ম সবার জন্য পাথেয় হয়ে থাকবে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় রমা চৌধুরীর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সহ-সভাপতি এইচএম সোহেল, শিশু একাডেমির পরিচালক নার্গিস সুলতানা, ছড়াকার সংসদের সভাপতি আ ফ ম মোদাচ্ছের আলী প্রমুখ।