জনতার কলামঃআমার নাম নেপাল কান্তি দে । আমি একজন অঘোষিত মুক্তিযোদ্ধা । আমার ঠিকানা আছাদগঞ্জ ইসলাম কলোনি চট্রগ্রাম। আমি পেশায় একজন রিকশাচালক । আমি ১৯৭১ সালে যেমন আমার সোনার বাংলার মানুষকে বাচানোর জন্য নিজ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলাম তেমনি আজও আমি আমার সোনার বাংলার মানুষের বিপদে আর ঘরে বসে থাকতে পারলাম না ।
আমরা সবাই জানি বর্তমানে বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাস মানুষের তাজা প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে । ইতিমধ্যে অনেক মানুষ এই ভাইরাসে বিদেশে মারা গিয়েছে। আমার সোনার বাংলাদেশ ঝুঁকিতে রয়েছে। তবে আতংকিত হবেন না ।
ভাইরাসটির নাম হলো করোনা ভাইরাস । এই ভাইরাসটি এমন শক্তিশালী যে মানুষকে মৃত্যুর দিকে পৌঁছে দেয়। প্রাথমিকভাবে এই ভাইরাসের লক্ষণগুলো হলোঃ জ্বর, কাশি,গলা ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, অজ্ঞান হয়ে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি।
আমি কোন বিশেষজ্ঞ বা ডাক্তার নই। আমি দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমার দেশের মানুষের পাশে থাকতে চাই। আমি এই ভাইরাসটি নির্মূলের কিছু কথা জনগণের কাছে দৈনিক ৭১ বাংলাদেশ পত্রিকার মাধ্যমে পৌঁছে দিতে চাই ।
আমরা সবাই জানি, এই ভাইরাসটি শরীরে আসার পর ৪ দিন গলায় থাকে । আমার মতামত হলো,
(১) হালকা গরম পানিতে কিছু লবণ মিশিয়ে দৈনিক ৬ বার ৪ ঘন্টা পর পর কুলি ও গলগলা করলে এই ভাইরাসটি আর শরীরের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবে না । সাথে সাথে কাশি ও বন্ধ হয়ে যাবে ।
(২)পরবর্তী পদক্ষেপ হলো এই ভাইরাসটি শরীরে লেগে থাকলে ৫ লিটার পানিতে নিমপাতা শিদ্ধ করে দিন ২ বার গোসল করতে হবে, এতে আপনার শরীরের করোনা ভাইরাসের জীবাণু মুহুর্তেই মারা যাবে ।
(৩)প্রতিটি পরিবারে নিমপাতা দিয়ে গোসল অবশ্যক।
(৪) পরবর্তী পদক্ষেপ হলো একটি ঔষধি পাতা যা গ্রামে পওয়া যায় তার নাম হলো থানকুনি পাতা । এই পাতা ভর্তা করে দিনে ২ বার কমপক্ষে ১৫ দিন খেতে হবে । এতে আমাদের ভিতরে যদি ভাইরাস প্রবেশ করে থাকে তাহলে এই পাতা শরীরের রোগ প্রতিররোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ভাইরাসকে ধংস করে দেয় ।
(৫) সকালে ঘুম থেকে উঠে বাশক পাতার রশ খেতে হবে। প্রিয় জনগণ, আমি আগেই বলেছি আমি কোন ডাক্তার নই , তবুও বলছি এই কাজ গুলোতে আপনারা সবাই এগিয়ে আসলে আমার পরিশ্রম সার্থক হয়েছে বলে আমি মনে করব।
আমি দেশের জন্য যেমন নিঃসার্থভাবে যুদ্ধ করেছিলাম ঠিক তেমনি আজও আমার প্রিয় দেশের জনগণের জন্য সংগ্রাম করে যাবো।
সবার জন্য আমার শুভ কামনা রইল, সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন
নিবদক, নেপাল কান্তিে দে , আছাদগঞ্জ , ইসলাম কলোনি, চট্রগ্রাম 

Discussion about this post